গুলরুখ্ অশ্রুরুদ্ধকণ্ঠে মিনতি করিয়া কহিলেন, “শাহজাদী, তুমি আজিকার মত উহাকে মাফ্ কর।”
“তবে পোষ মানে নাই?”
“মানিবে, সময় লাগিবে।”
“সে হইবে না, তোর খসম্ বলিয়া যে আমার হুকুম তামিল করিবে না আমি তাহা সহ্য করিব না। আমি এখনই তাহাকে কতল করিয়া কালি তোর নিকা দিব।”
শাহ্জাদী কক্ষে প্রবেশ করিয়া ময়ূখকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সরওয়ার্ খাঁ, তোমার বিবিকে লইয়া যাইবে?”
“আমার ত বিবি নহে শাহ্জাদী?”
“আবার মিথ্যা কথা?”
মিথ্যা বলি নাই।”
“জল্লাদ্!” এইবার বিংশতি খোজা ময়ূখকে বেষ্টন করিল, দ্বাদশজন তাতারী মুক্ত তরবারি হস্তে প্রাচীরের চারি দিকে দাঁড়াইল। জল্লাদ ময়ূখের হস্ত ধরিয়া আকর্ষণ করিল। তখন উপায়ান্তর না দেখিয়া ভুবন আত্মসমর্পণ করিল এবং শাহ্জাদীর পদযুগল ধারণ করিয়া কহিল, “শাহ্জাদী, উহার জন্ম অবধি উহাকে লালন পালন করিয়াছি, আমার সম্মুখে উহাকে মারিও না। দয়া করিয়া, মেহেরবাণী করিয়া আগে আমাকে কতল্ কর, পরে যাহা ইচ্ছা হয় করিও।” বৃদ্ধের কণ্ঠ রুদ্ধ হইল, কিন্তু তাহার কাতর আবেদন গ্রাহ্য হইল না।
দুইজন খোজা ময়ূখের মস্তক কাষ্ঠ খণ্ডের উপর স্থাপন