আসিফ্। হাঁ, আহমদাবাদ, সাতগাঁও, ও জহাঙ্গীর নগরের ওয়াচীয়ানবীশ দুই তিন বার এই সংবাদ দিয়াছিল।
বাদশাহ্। ইহার পরে সুবা বাঙ্গালা ও সুবা গুজরাতের সমস্ত ওয়াচীয়ানবীশের সমস্ত পত্র যেন আমার নিকট উপস্থিত করা হয়।
আসফ্। জহাঁপনার হুকুম তামীল হইবে।
বাদশাহ্। শুন ওয়াইল্ড, কাশেম খা বাঙ্গালার সুবাদার হইয়া যাইতেছে। আমি বাঙ্গালা ও গুজরাতে পর্ত্তুগীজদিগকে শাসন করিব। তোমাদিগের সহিত পর্ত্তুগীজদিগের বিবাদ আছে?
ওয়াইল্ড। শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধ চলিতেছে।
বাদশাহ্। তোমাদের জাহাজ পর্ত্তুগীজ সমস্ত জাহাজ ইরাণে এবং সুরট অঞ্চলে আটকাইয়া রাখিতে পারিবে?
ওয়াইল্ড। পারিবে।
এই সময়ে শায়েস্তা খাঁ গোসলখানায় প্রবেশ করিয়া কহিলেন, “জহাঁপনা, এক হিন্দু ফকীর নাকারাখানায় অপেক্ষা করিতেছে, সে বাদশাহের সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে। তাহার নিকট শাহনশাহের নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয়ক ও পঞ্জা আছে।” বাদশাহ্ শায়েস্তা খাঁর কথা শুনিয়া বিচলিত হইয়া উঠিলেন, তিনি শায়েস্তা খাঁকে কহিলেন, “খাঁ সাহেব, আমার নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয় কেবল একজন হিন্দু ফকীরের নিকট আছে; তিনি