পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
১৫

তখন আর উপায় কি?” “তর্করত্নটী যেন ফৌজদারের সিপাহী—হরিনাথ কোথায়?” “গোস্বামীকে দেখিয়াই পলায়ন করিয়াছে।” “সন্ধ্যা হইল, চল ঘরে যাই।”


তৃতীয় পরিচ্ছেদ
আশ্রয় লাভ

 খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম পাদের শেষ বৎসরে, ভাদ্র মাসে, প্রশস্ত গঙ্গাবক্ষে একখানি দীর্ঘাকার নাতিপ্রশস্ত নৌকা দ্রুতবেগে দক্ষিণাভিমুখে যাইতেছিল। সন্ধ্যা আগতপ্রায়; ভাগীরথীর উভয় কূল ধূসরবর্ণ ছায়ায় আবৃত হইয়া আসিতেছে; প্রথম সন্ধ্যায় আলো আঁধারে নৌকার নাবিকগণ সম্মুখে একখানি ক্ষুদ্র নৌকা দেখিতে পাইয়া তাহা দূরে লইয়া যাইতে কহিল; কিন্তু ক্ষুদ্র নৌকার আরোহী বা নাবিক শুনিতে পাইল না, অথবা গ্রাহ্য করিল না। দেখিতে দেখিতে দ্রুতগামী নৌকাখানি ক্ষুদ্র নৌকার পার্শ্বে আসিয়া পড়িল। নাবিকগণ দেখিতে পাইল যে, ক্ষুদ্র নৌকা কর্ণধারবিহীন, স্রোতের মুখে ভাসিয়া যাইতেছে, নৌকার গর্ভে একটি মনুষ্য দেহ-পড়িয়া রহিয়াছে। সহসা বৃহদাকার নৌকার গতি পরিবর্ত্তিত হইল, তাহা ফিরিয়া আসিয়া ক্ষুদ্র নৌকার পার্শ্বে আসিয়া লাগিল,