পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
১৭

ব্রাহ্মণ। অন্য কোন কথা জিজ্ঞাসা করিবেন না; আপনি জীবনদাতা, আপনার আদেশ অমান্য করিতে হইলে সংকোচ বোধ হয়।”

 যুবক ব্রাহ্মণবংশজাত শুনিয়া প্রৌঢ় তাহাকে প্রণাম করিয়া পদধূলি গ্রহণ করিলেন এবং কহিলেন, “ঠাকুর, আপনি ভিতরে অসুন।” নৌকায় একটি মাত্র কক্ষ ছিল, তাহার মধ্যে বহুমূল্য শয্যায় অনিন্দ্যসুন্দরকান্তি এক যুবা বসিয়া ছিল। প্রৌঢ় কক্ষে প্রবেশ করিয়া তাহাকে কহিলেন—“গোষ্ঠ, আমাদের অতিথি ব্রাহ্মণ, প্রণাম কর।” যুবা উঠিয়া অতিথিকে প্রণাম করিল। তখন প্রৌঢ় পুনরায় কহিলেন, “গোষ্ঠ, আমাদের খাস বন্দুকগুলি বাহির করিয়া আন।” যুবক কক্ষের নিম্নে নৌকাগর্ভ হইতে সাত আটটি বহুমূল্য বন্দুক বাহির করিল। প্রৌঢ় ময়ূখকে কহিলেন, “ঠাকুর, ভাল দেখিয়া একটি বন্দুক বাছিয়া লউন।” ময়ূখ একটি ক্ষুদ্র বন্দুক বাছিয়া লইলেন। গোষ্ঠ নৌকার ছাদ হইতে থলিয়া ভরা বারুদ ও গুলি বাহির করিল এবং তাহা ময়ূখের হস্তে প্রদান করিল। তখন প্রৌঢ় জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, আপনি কি ক্লান্ত হইয়াছেন?” ময়ূখ কহিল “না।” “তবে বাহিরে আসুন, নিশাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকি।” “মাঝি মাল্লারা কি বন্দুক ধরিতে জানে?” “ঠাকুর, মাল্লারা কেহই ধীবর নহে, তাহারা শিক্ষিত সেনা, আবশ্যক মত নাবিকের কার্য্য করিয়া থাকে।” “কতজন মাল্লা আছে?” “দেড় শত, সকলের