পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
ময়ূখ

ও দস্যুদলের মধ্যে গিয়া পড়িব।” প্রৌঢ় কহিলেন, “উত্তম কথা; ঠাকুর, তুমি যুদ্ধ ব্যবসায় পারদর্শী দেখিতেছি। সকলে নদীকূলের উচ্চ ভূমির আশ্রয়ে ধীরে ধীরে চল।”

 প্রৌঢ়, গোষ্ঠ, ময়ূখ, নাবিকগণের অগ্রে অগ্রে চলিতে লাগিলেন। কিয়দ্দূর অগ্রসর হইয়া, ময়ূখ কহিলেন, “দেখুন, নাবিকগণকে দুই ভাগে ভাগ করিয়া লই, একদল নাবিক গ্রামবাসিগণের রক্ষায় যাউক, দ্বিতীয়দল তাহাদের প্রত্যাবর্ত্তনের পথরোধ করুক।” “উত্তম কথা, কে কোন্‌ পথে যাইবে?” “আমি গ্রাম রক্ষায় যাইতেছি, আপনারা পিতাপুত্রে অগ্রসর হউন।”

 সপ্ততি জন নাবিক ময়ূখের সহিত গ্রামের দিকে যাত্রা করিল; অবশিষ্ট নাবিকগণকে লইয়া প্রৌঢ় ও গোষ্ঠ নৌকার দিকে অগ্রসর হইলেন। ক্ষণকাল পরে গ্রামমধ্যে ক্রমাগত বন্দুকের শব্দ হইতে লাগিল; এবং মুহূর্ত্তপরে একজন নাবিক ফিরিয়া আসিয়া প্রৌঢ়কে কহিল, “আমাদের দেখিয়া দস্যুরা পলাইতেছে, তাহাদিগের নৌকা কোথায়?” প্রৌঢ় কহিলেন,— “নৌকা ত খুঁজিয়া পাই নাই, দস্যুরা কি ফিরিঙ্গি?” “হয় মগ্‌ না হয় ফিরিঙ্গি।”

 এই সময়ে ফিরিঙ্গিদিগের কোশার মত একখানি বড় নৌকা আর একটি খালের ভিতর হইতে বাহির হইয়া গঙ্গায় পড়িল, তাহা দেখিয়া প্রৌঢ় নাবিককে কহিলেন, “বোধ হয়, ঐ দস্যুদিগের নৌকা, তুমি ঠাকুরকে গিয়া বল যে আর গ্রামে