পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
২১

বিলম্ব করিবার প্রয়োজন নাই, দস্যুরা নৌকায় উঠিয়া পলাইয়াছে। যত শীঘ্র সম্ভব নৌকায় ফিরিয়া আসিও।”

 নাবিক চলিয়া গেল, প্রৌঢ় নৌকায় ফিরিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে ময়ূখ ও অন্যান্য নাবিকগণ নৌকায় ফিরিয়া আসিলেন। নৌকা তৎক্ষণাৎ দক্ষিণাভিমুখে যাত্রা করিল। কক্ষে বসিয়া প্রৌঢ় ময়ূখকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, আর দুই দিনে সপ্তগ্রাম পৌঁছিব। আপনি সপ্তগ্রামে কোথায় যাইবেন?” “ফৌজদার কলিমুল্লা খাঁর নিকটে।”

 “একদিনেই কি ফৌজদারের সাক্ষাৎ পাইবেন? সপ্তগ্রামে কি আপনার কোন পরিচিত লোক আছে?” “কেহ না, তবে আমার পিতার দুই একজন বন্ধু আছেন।” “তাঁহারা কি আপনাকে জানেন?”

 “আমার নাম শুনিয়াছেন, কিন্তু কখনও আমাকে চক্ষে দেখেন নাই।” “তবে আশ্রয় লইবেন কোথায়?” “যদি কেহ চিনিতেই না পারেন, তাহা হইলে অতিথিশালায় আশ্রয় লইব।” “যদি অনুগ্রহ করিয়া সপ্তগ্রামে আমার কুটীরে বাস করেন, তাহা হইলে চরিতার্থ হইব।”

 “আপনি জীবনদাতা, যখন যাহা আদেশ করিবেন আমি সানন্দে তাহাই সম্পাদন করিব। আমি সপ্তগ্রামে অপরিচিত, কর্পদ্দকশূন্য ভিখারী; আপনি দয়া করিয়া দ্বিতীয়বার আমাকে আশ্রয় দিতে চাহিয়াছেন, ইহাই আমার পরম সৌভাগ্য—”

 সহসা গুড়ুম করিয়া তোপের আওয়াজ হইল, সঙ্গে সঙ্গে