পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ
অতিথি-পরিচয়

 “ঠাকুর, আমি ঢাকা হইতে ফিরিতেছি, বাঙ্গালার সুবাদার দরিদ্র প্রজাকে দস্যুর অত্যাচার হইতে রক্ষা করিতে অক্ষম।” “তবে বাদশাহের নিকটে আবেদন করুন।” “ঠাকুর, আমি বণিক্‌, ফিরিঙ্গির অত্যাচারে আমার সর্ব্বস্ব গিয়াছে। যাহা কিছু আছে দিল্লী গেলে তাহাও যাইবে।” “কেন, বাদশাহ কি তাহা কাড়িয়া লইবেন?” “না, তবে আমি বাদশাহের দরবারে পৌঁছবার পূর্ব্বে ফিরিঙ্গি বণিক্‌ এবং খৃষ্টান পাদরী আমার অবশিষ্ট সম্পত্তি এমন কি স্ত্রী, পুত্র, পর্য্যন্ত হরণ করিবে।”

 ময়ূখ বিস্মিত হইয়া প্রৌঢ়ের মুখের দিকে চাহিয়া রছিলেন, —ক্ষণকাল পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়! আপনি কে?” প্রৌঢ় ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “ঠাকুর, আপনি নিজ পরিচয় গোপন করিয়াছেন—কিন্তু আমি তাহা করিব না। আমি সপ্তগ্রামবাসী সুবর্ণবণিক্‌, বাণিজ্য আমার ব্যবসা, আমার নাম—গোকুলবিহারী সেন। সপ্তগ্রামে, গৌড়ে, সুবর্ণগ্রামে ও ঢাকায় আমার কুঠী আছে। পূর্ব্বে আমার দশখনি জাহাজ ছিল, সেগুলি একে একে বিসর্জ্জন দিয়াছি। গৌড়ে ও ঢাকায়