পিপলি হইতে বর্দ্ধমান পর্য্যন্ত এক সঙ্গে ছিলেন, আকবর নগর ও জহাঙ্গীর নগরের যুদ্ধে পিতা আহামদ্ বেগ খাঁর দক্ষিণ হস্ত স্বরূপ ছিলেন। নাওয়ারার কোন কর্ম্মচারী কি এখন সপ্তগ্রামে আছেন?” “আছেন; আমীরউলবহর আসদ খাঁ কিছুদিন পূর্ব্বে সপ্তগ্রামে আসিয়াছেন।”
“বড়ই সৌভাগ্যের কথা, আসদ্খাঁও আমার পিতৃবন্ধু, মহবৎখাঁ ও খানাজদ্খাঁ সুবাদারীর সময়ে পিতা বহুদিন আসদখাঁর সহিত একসঙ্গে বিদ্রোহদমন কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন।” “সুবাদারের কর্ম্মচারীদের মধ্যে কাহারও সহিত আলাপ আছে কি?” “নায়েব কানুনগো ভগবান্ রায় পিতার বন্ধু, আর কাহারও নাম স্মরণ নাই।” “অনেক রাত্রি হইয়াছে, বিশ্রাম করুন, সপ্তগ্রামে পৌঁছিয়া পরামর্শ করা যাইবে।”
গোকুল, গোষ্ঠ ও ময়ূখ কক্ষমধ্যে শয়ন করিলেন। রাত্রি শেষে নৌকা থামিল, কেনারাম আসিয়া গোকুলকে জাগাইল এবং কহিল, “হুজুর, সম্মুখে অনেক নৌকা দেখা যাইতেছে, সমস্তই গরার ও কোশা। একখানা পঞ্চাশ তোপের গরার ঠিক গঙ্গার মাঝখানে নোঙ্গর করিয়া আছে, নৌকা কি চালাইব?”
গোকুল, গোষ্ঠ ও ময়ূখ নৌকার বাহিরে আসিয়া দাঁড়াইলেন এবং দেখিলেন যে, নৌবাহিনীর আলোকমালায় অন্ধকার গঙ্গাবক্ষ দিনের ন্যায় উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে। তাহা দেখিয়া