পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
অষ্টম পরিচ্ছেদ
৫৫

তুমি কি পাগল হইয়াছ?” “পাগল না হইলে সংসার ত্যাগ করিতে পারা যায় না। আমার প্রার্থনা সত্য সত্যই আপনার জন্য।” হরেকৃষ্ণ কহিলেন, “হুজুর, ইনি ত্রিকালদর্শী সাধু পুরুষ; ইনি যাহা বলিতে আসিয়াছেন মেহেরবাণী করিয়া তাহ শুনুন।” নবাব বলিলেন, “ফকীর কি বলিতে আসিয়াছ বল।” “আপনি অদ্য নৌকায় উঠিবেন না।” “কেন? আমি এখনই বজরায় যাইতেছি।” “অদ্য নৌযানে ভ্রমণ করিলে আপনার বিপদ হইবে।” “ফকীর সত্য সত্যই পাগল। তুমি কি এই কথা বলিবার জন্য জহাঙ্গীর নগরে আসিয়াছ?” “আমার আরও একটি অনুরোধ আছে, আমার এক বন্ধুর কন্যাকে মখ্‌সুসাবাদ হইতে ফিরিঙ্গির সপ্তগ্রামে ধরিয়া লইয়া গিয়াছে। বাদশাহ ঈশ্বরের ছায়া, আপনি তাঁহার প্রতিনিধি, আপনার অনুগ্রহ ব্যতীত অসহায়া বালিকার উদ্ধার অসম্ভব।” “ফকীর, ফিরিঙ্গি লড়াইতে বড়ই বাহাদুর; তাহারা শাহান্‌শাহ্‌ বাদশাহের হুকুম সকল সময়ে তামিল করে না, তাহারা কি আমার অনুরোধ গ্রাহ্য করিবে?” “নিশ্চয়ই করিবে।”

 হরে। জনাবালী হিন্দুস্থানের রুস্তম, বাদশাহী দরবারের আফ্‌তাব ও মাহ; সুবা বাঙ্গালায় এমন কে বেকুফ্‌ আছে যে হুজুরের ফর্‌মান্‌ বরদারী করিবে না? জনাবালীর মুখ হইতে আওয়াজ বাহির হইতে হইতে সপ্তগ্রাম ও চট্টগ্রামের সমস্ত ফিরিঙ্গি তাহা তামিল করিবে।

 নবাব। হরেকিষণ, তোমার খাতিরে ফকীরের