দরখাস্ত মঞ্জুর করিলাম, কিন্তু সেই বালিকাকে ফিরিঙ্গিদিগের নিকট হইতে খরিদ করিয়া আনিতে হইবে।
সন্ন্যাসী। তাহারা যদি বিক্রয় না করে?
নবাব। তখন কলিমুল্লা খাঁকে হুকুম দিব, সে তোমার আত্মীয়াকে ছিনাইয়া লইয়া আসিবে।
সন্ন্যাসী। অর্থলোভে অথবা নবাবের খাতিরে, পর্ত্তুগীজ সেনাপতি বালিকা ছাড়িতে চাহিলে পাদ্রীরা তাহাকে ছাড়িবে না।
নবাব। তুমি কি সেই বালিকাকে খরিদ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলে?
সন্ন্যাসী। ইহার জন্য করি নাই বটে, কিন্তু পূর্ব্বে দুই এক বার করিয়াছি, তখন এই জবাব পাইয়াছিলাম।
নবাব। ফকীর, আমার অনুরোধ আর একবার চেষ্টা করিয়া দেখ।
নবাব এই বলিয়া প্রস্থানের উপক্রম করিলেন, তাহা দেখিয়া হরেকৃষ্ণ অতি বিনীত ভাবে কহিলেন, “হুজুর, বন্দার শরীর অসুস্থ, জনাবালীর হুকুম পাইলে, নায়েব দেওয়ানকে পাঠাইয়া দি।” “হরেকিষণ, তুমি কাফেরের কথা শুনিয়া ভয় পাইয়াছ?” “না; আমার শরীর তিন দিন যাবৎ অসুস্থ আছে।” “তবে মহম্মদ আমিন খাঁকেই পাঠাইয়া দাও।” হরেকৃষ্ণ অব্যাহতি পাইয়া হাঁপ ছাড়িয়া বঁচিলেন।
নবাব অন্দর মহলে প্রবেশ করিলে সন্ন্যাসী হরেকৃষ্ণকে