পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৮
ময়ূখ

থাকিবে।” “প্রভু, ভবিষ্যৎ যখন আপনার অবিদিত নহে, তখন আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করিলেন না কেন?” “হরেকৃষ্ণ, বিধিলিপি অখণ্ডনীয়। আসদ্‌ খাঁ কোথায়?” “বোধ হয় সপ্তগ্রামে।” “আমি চলিলাম, তাহার সহিত ফিরিব।” সন্ন্যাসী এই বলিয়া অন্ধকারে অদৃশ্য হইলেন।


নবম পরিচ্ছেদ
চৈতন্যদাস বাবাজী

 মসীকৃষ্ণবর্ণ, খর্ব্বাকার, লম্বোদর, মুণ্ডিতশীর্ষ, একজন বৈরাগী সরস্বতী ও গঙ্গা সঙ্গমের নিকটে, সেই তিন্তিড়ি বৃক্ষের নিম্নে বসিয়া ঘনঘন নস্য লইতেছিল। তাহার পার্শ্বে কৃশকায়, কৃষ্ণবর্ণ একটি দীর্ঘাকার যুবক দাঁড়াইয়াছিল। ঘাটে যে কয়থানি নৌকা আসিল, বৈরাগী তাহাদের প্রত্যেক খানির মাঝি মাল্লাদিগকে হুগলী যাইতে অনুরোধ করিল; কিন্তু কেহই সম্মত হইল না। ঘাটে যে কয়খানি নৌকা ছিল তাহাদিগের মাঝিরা কহিল, “বাবাজী, আমরাত পূর্ব্বেই বলিয়াছি, আজ সপ্তগ্রামের কোন নৌকা হুগলীর দিকে যাইতে সাহস করিবে না।” বৈরাগী কাতর হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কেন বাপু? আমার যে হুগলীতে বিশেষ প্রয়োজন আছে।” একজন বৃদ্ধ ধীবর