পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬২
ময়ূখ

নামে নিষ্ঠীবন ত্যাগ করিতেছিস্? তোর নরকেও স্থান হইবে না।”

 বৈরাগী বড়ই বিপদে পড়িল, সপ্তগ্রামে গমন তাহার নিতান্ত আবশ্যক, অথচ গির্জ্জায় নরবলির কথা শুনিয়া সে বড়ই ভীত হইয়াছিল; তাহার আর একাকী সপ্তগ্রামে যাইবার ভরসা হইতেছিল না। ব্রাহ্মণ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়াছে দৈখিয়া বৈরাগী করযোড়ে কহিল, “ঠাকুর মহাশয়, অপরাধ লইবেন না।” ব্রাহ্মণ মুখ ফিরাইয়া দাঁড়াইল; তখন বৈরাগী পুনরায় কহিল, “ঠাকুর মহাশয়, আমি কি করিব? গুরুর আদেশ।” “তোমার গুরু কি তোমাকে মহামায়ার নামে থুতু ফেলিতে বলিয়াছে?” “না, না। লোকাচার।” “এমন লোকাচার সকলে সহিবে কেন?” “ঠাকুর মহাশয়, অপরাধ হইয়াছে।”

 ব্রাহ্মণের ক্রোধ অধিকক্ষণ থাকে না। ব্রাহ্মণ প্রসন্ন হইয়া কহিলেন, “বাবাজী, তুমি কি পাগল হইয়াছ, খ্রীষ্টানে কখন নরবলি দেয়?” বলি শুনিয়া বৈরাগী থুতু ফেলিতে যাইতেছিল, বহু কষ্টে আত্মসম্বরণ করিল। এই সময়ে সাত আটজন লাঠিয়াল আসিয়া ব্রাহ্মণকে প্রণাম করিল। তাহাদিগের মধ্যে একজন বৃদ্ধ কহিল, “ঠাকুর মহাশয়, কোন সংবাদই পাইলাম না। সারা সহর তন্ন তন্ন করিয়া খুঁজিয়াছি, যত লোক মরিয়াছে অথবা জখম হইয়াছে তাহাদিগের সকলকেই দেখিয়া আসিয়াছি। মহারাজকে ত কোথাও দেখিলাম না।” ব্রাহ্মণ সংবাদ শ্রবণে চিন্তিত হইয়া কহিলেন, “তাই ত ভুবন, আমি