পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
দশম পরিচ্ছেদ
৬৫

ক্ষত চিহ্ন। ক্ষত স্থান সমূহ বহু বস্ত্র খণ্ডে আবদ্ধ, তাহা স্থানে স্থানে রক্তাক্ত। কিয়ৎক্ষণ পরে যুবক অস্ফুট স্বরে কি কহিল। তাহা শুনিয়া যুবতী সেতার রাখিল এবং শয্যাপার্শ্বে গিয়া দাঁড়াইল।

 যুবক চক্ষুরুন্মীলন করিল এবং যুবতীকে দেখিয়া কহিল, “কে? ললিতা? কখন আসিলে?” যুবতী শয্যাপার্শ্বে উপবেশন করিয়া উভয় করে যুবকের দক্ষিণ হস্ত গ্রহণ করিল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “কি বলিতেছ? আমাকে কি চিনিতে পারিতেছ না?” যুবকের অধরে হাস্যের ক্ষীণরেখা দেখা দিল, যুবক কহিল, “কেন পারিব না?”

 “বল দেখি আমি কে?” “তুমি ললিতা।” “ললিতা কে? আমি যে গুলরুখ্‌।” “মিথ্যা কথা, তুমি ললিতা, এ ভীমেশ্বর। ললিতা, তুমি কখন আসিলে? আমি ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলাম।”

 “তুমি কি বলিতেছ? এ যে সপ্তগ্রাম, সরস্বতী গঙ্গার মোহানায় আমাদের বজ্‌রা লাগিয়াছে। আমি গুল্‌রুখ, তুমি কি এখনও আমাকে চিনিতে পার নাই?” “চিনিয়াছি। ললিতা, তুমি বুঝি একটা নূতন মুসলমানী নাম শিখিয়াছ?” “অধিক কথা কহিও না। তোমার এখনও জ্ঞান হয় নাই।” “ললিতে, এ আবার কি ছলনা? সন্ধ্যাবেলায় গোপালের মন্দিরে আরতি দেখিতে যাইব বলিয়াছিলাম, চল যাই।”

 যুবক শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিবার চেষ্টা করিল, তাহা