ভারেজ্ এখন হইতে বন্দী, তাঁহার অঙ্গে হস্তক্ষেপ করিও না, কিন্তু তাঁহাকে নজরবন্দী রাখিও।”
ডিসুজা আগন্তুকের সহিত কক্ষ পরিত্যাগ করিল। একজন ফিরিঙ্গি চৈতন্যদাসকে ক্রোড়ে উঠাইয়া লইল, দ্বিতীয় ব্যক্তি ব্রাহ্মণের দেহ স্পর্শ করিল। ব্রাহ্মণ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় যাইতে ইইবে?” ফিরিঙ্গি অঙ্গুলী দিয়া দ্বার দেখাইল, ব্রাহ্মণ ফিরিঙ্গিগণের সহিত কক্ষ ত্যাগ করিল।
সপ্তগ্রামের দুর্গমধ্যে তোরণের পশ্চাতে আমীর-উল-বহর আসদ্ খাঁ বিষন্ন বদনে দাঁড়াইয়া আছেন, তাঁহার পশ্চাতে রাদন্ দাজখাঁ, আলীনকী খাঁ প্রমুখ মুসলমান সেনানায়ক ও শেঠ গোকুলবিহারী, তাহার পুত্র গোষ্ঠবিহারী, চিন্তামণি মজুমদার, হরিনারায়ণ শীল প্রভৃতি সপ্তগ্রামের প্রধানগণ দাঁড়াইয়া আছেন। সকলের মুখই বিষন্ন, আহত সেনাগণ আসদ্ খাঁর সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইয়াছে, আসদ্ খাঁ তখনও ময়ূখের সন্ধান করিতেছেন। গোকুলবিহারী বলিলেন, “হুজুর, সপ্তগ্রামের লোকে যখন শুনিল যে ফিরিঙ্গির ভয়ে ফৌজদার কলিমুল্লা খাঁ