পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ
৮৯

তুমি কলিমুল্লাখাঁর তরফ্‌ হইতে তাঁহাকে উপযুক্ত অভ্যর্থনা করিয়া লইয়া আইস।”

 হরকরা ও রাদন্দাজ খাঁ প্রস্থান করিলেন ও ক্ষণকাল পরে সুবা বাঙ্গালার রাজস্ব বিভাগের দেওয়ান হরেকৃষ্ণ রায়কে সঙ্গে লইয়া আসদ্‌ খাঁর নিকটে ফিরিয়া আসিলেন। দেওয়ান যথারীতি অভিবাদন করিয়া কহিলেন, “জনাবে আলী, নবাব নাজিম নবাব মক্‌রমখাঁর ফৌৎ হইয়াছে, শাহান শাহ্‌ বাদ্‌শাহের আদেশ ইক্‌লিম্ বাঙ্গালায় যতদিন না পৌঁছে ততদিন আপনিই সুবা বাঙ্গালা বিহার ও উড়িষ্যার সুবাদার।” দেওয়ান হরেকৃষ্ণ এই বলিয়া পুনরায় অভিবাদন করিলেন। আসদ্‌ খাঁ বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি প্রকারে নাজিম নবাব মকরম্ খাঁর ফৌৎ হইল?” হরেকৃষ্ণ পুনরায় কুর্ণিস করিয়া নিবেদন করিলেন, “নবাব নাজিম বজ্‌রায় সফর করিতে গিয়াছিলেন, হঠাৎ ঝড় উঠিয়া বজ্‌রা মারা গিয়াছে।”

 “উড়িষ্যা বা বিহারের ফৌজদারকে সংবাদ দিলে না কেন?” “আপনি ব্যতীত সুবা বাঙ্গালা উড়িষ্যায় পঞ্চ্‌ হাজারী মনসব্‌দার আর কেহ নাই।”

 হরেকৃষ্ণ রায়ের আদেশে সুবাদারের চিহ্নস্বরূপ ছত্র, নিশান, আশা, সোটা, দুর্ব্বাশ্‌, মহি, মরাতব প্রভৃতি রাজচিহ্ন আনীত হইল। হরিনারায়ণ শীল পেশ্‌কার স্বরূপ উড়িষ্যা, জহাঙ্গীর নগর, সপ্তগ্রাম ও পাটনার নায়েব নাজিমদিগকে নবাব আসদ্ খাঁর নাজিমী গ্রহণ সংবাদ জানাইয়া পত্র