এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫)

দাঁটা এবং পত্র গুলীন সর্ব্বদা ঝন্ ঝন্ শব্দ করিতে থাকে, ভূমির উপরিভাগটা সুকোমল বালুকা দ্বারা আচ্ছাদিত আছে বটে, কিন্তু গন্ধক জ্বালাইলে তাহার শিখা যেরূপ নীল বর্ণ হয়, ঐ বালি সেই রূপ নীল বর্ণ ও সমুদায় আকাশ মণ্ডলও বিশেষ এক প্রকার নীলবর্ণ দ্বারা আচ্ছাদিত আছে, অতএব তাহারা যদি ঐ সমুদ্রের অধোভাগে গমন করিয়া চতুর্দ্দিকস্থ বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, তবে জলের অধোদেশে আছি এমন বোধ করিতে পারে না, নীচে নীলবর্ণ এবং উপরেও নীলবর্ণ দেখিয়া তাহাদের বোধ হয়, যেন আমরা অতি উর্দ্ধে শূন্য মার্গে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেছি, আমাদের উপরি ও অধোভাগে নীলাক্ত মেঘ সকল রহিয়াছে। তাহারা দেখে যেন দিনকর একটি রক্ত কমলের ন্যায়, উহার পুষ্প কোষ হইতে অল্প অল্প আভা বাহির হইতেছে।

 প্রত্যেক রাজকন্যারই উদ্যান মধ্যে এক একটু ক্ষেত্র নির্দ্দিষ্ট ছিল, তাহাতে খনন অথবা বীজ রোপণ যে যাহা ইচ্ছা করিত, তাহাই করিতে পারিত। একদা একজন আমার রোপিত বৃক্ষের ফুল সকলের আকার যেন তিমি মৎস্যের ন্যায় হয়, ইহা বলিয়া বীজ রোপণ করিল, আর একজন