এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬)

মৎস্য নারীর আকারকে শ্রেষ্ঠ বোধ করিয়া তাহাই মনে করিয়া আপনার বীজ গুলীন রোপণ করিল, সর্ব্ব কনিষ্ঠা রাজতনয়া আপনার ক্ষেত্র মধ্যে সূর্য্যমণ্ডলের ন্যায় একটা গোলাকার করিয়া তাহাতে রক্ত বর্ণ ফুল ফুটে এমত বীজ রোপণ করিল, কারণ সমুদ্রের ভিতরে থাকিয়া সে সূর্য্যকে রক্ত বর্ণ দেখিয়া ছিল। ঐ বালিকার চরিত্র আর আর রাজ বালাদিগের ন্যায় নহে। সে অতি ধীরা এবং বুদ্ধিমতী ছিল, অন্যান্য ভগিনীদিগের ন্যায়, সে কোন আশ্চর্য বস্তু প্রাপ্ত হইলে অতিশয় আহ্লাদিতা হইত না। জাহাজ ভগ্ন হইলে যে সকল বস্তু সমুদ্র জলে নিমগ্ন হইয়া যায়, পূর্ব্বে কখন দেখে নাই বলিয়া ঐ সকল বস্তুকে তাহারা আশ্চর্য্য বোধ করিত, কনিষ্ঠা রাজকন্যা আকাশস্থ সূর্য্যের ন্যায়, আপনার রক্ত বর্ণ ফুল সকল লইয়া সর্ব্বদা আমোদ প্রমোদ করিত। একবার একখান জাহাজ চড়ায় লাগিয়া ভগ্ন হওয়াতে তাহার মধ্যস্থিত এক যুবাপুরুষের শ্বেতবর্ণ প্রস্তরে খোদা একটি প্রতিমূর্ত্তি ঐ সমুদ্র জলে নিমগ্ন হইয়া যায়, ঐ প্রতিমূর্ত্তি খানি পরমরূপসী কনিষ্ঠা রাজকন্যার নিকটে ছিল। ঐ প্রতিমূর্ত্তি ব্যতিরেকে সে আর কিছুই চাহিত না। উহারই প্রতি তাহার অত্যন্ত শ্রদ্ধা ছিল।