এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২১)

 জাহাজ এক প্রকার অট্টালিকার ন্যায়, তাহাতে অনেক গুলীন কুঠরী, এবং জানালা সারসী খড়খড়ী প্রভৃতি সকলই তন্মধ্যে আছে। অল্প বয়স্কা মৎস্যনারী সন্তরণ দ্বারা একটি কামরার নিকটে গিয়া মস্তকোত্তোলন করত স্বচ্ছ সারসীর ভিভর দিয়া দেখিতে পাইল, তাহার ভিতর কতকগুলীন যুবা পুরুষ উত্তম পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া বসিয়া রহিয়াছে। দেখিল তাহাদের মধ্যে এক ব্যক্তি পরম সুন্দর, মৃগ চক্ষুর ন্যায় তাহার চক্ষুর্দ্বয় বড় বড়, ও কৃষ্ণবর্ণ, অনুভবে সে বোধ করিল ইনি অবশ্যই রাজকুমার হইবেন; ষোড়শ বর্ষের অধিক বয়স নহে, সে দিন তাহার জন্মদিন, তৎ প্রযুক্তই এত ধূম ধামে উৎসব হইতেছিল। নাবিকগণ জাহাজের চাঁদনীর উপর দণ্ডায়মান হইয়া নৃত্য করিতেছে, এমত সময়ে রাজপুত্র উপরে উঠিয়া আইলেন, রাজকুমারের আগমনে নাবিকেরা শতাধিক হাউয়ে একেবারে আগুণ লাগাইয়া দিল, তদালোকে শূন্যমার্গ আলোকময় হওয়াতে ঠিক যেন দিনের মত উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, সমুদ্রাধো বাসী রাজ তনয়া যাবজ্জীবন কখন এমন দেখে নাই, এজন্য ভয় পাইয়া জল নিমগ্ন হইল। ডুবিয়াও অনেকক্ষণ থাকিতে পারিল না, আর একবার মাথা তুলিয়া উপরিভাগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখে