এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২২)

যে শূন্য হইতে তারা সকল তাহার মস্তকোপরি পতিত হইতেছে। সূর্য্যবাজি দ্বারা বারুদ সকল বড় বড় সূর্য্যের মত হইয়া অগ্নির স্ফুলিঙ্গ বাহির করিতেছে, মৎস্যবাজি দ্বারা বারুদ সকল মৎস্যের ন্যায় হইয়া শূন্যমার্গে কেলি করিয়া বেড়াইতেছে, আর ঐ আশ্চর্য্য বস্তুর ছায়া সকল সমুদ্রের স্থিরবারি মধ্যে প্রতিবিম্বিত হইলে উপরে যেরূপ দেখাইতেছিল, নীচেও সেইরূপ দেখা গেল। এমন আশ্চর্য্যবারুদের কর্ম্ম সে পূর্ব্বে কখন দেখে নাই। যখন আকাশ মণ্ডল এরূপ দীপ্তিমান তখন জাহাজ কত আলোকময় হইতে পারে তাহা লিখিবার আবশ্যক রাখেনা। জাহাজ স্থিত প্রত্যেক রসীগুলীন স্পষ্ট রূপে দৃশ্যমান হইতে লাগিল, তখন যাহারা তাহার ভিতর ছিল তাহাদিগকে কিরূপ দেখা যাইতে পারে? পরম রূপবান্ রাজপুত্র আর আর উপস্থিত লোক দিগের হস্তে হস্ত দিয়া হাস্য করিতে লাগিলেন, ইহাতে তাঁহাকে কেমন সুন্দর দেখাইল, ঐ সুখ জনক রাত্রিকালে বাদ্যের শব্দে সকল লোকই মোহিত, আনন্দের আর পরিসীমা নাই।

 অধিক রাত্রি হইয়াছিল তথাপি ঐ মৎস্যাকারা কন্যা রাজপুত্র এবং জাহাজের প্রতি দৃষ্টি করিতে বিরক্তি প্রকাশ করিল না, এক দৃষ্টে তাহাদের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া রহিল, এই রূপ দৃষ্টি ক-