এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৪)

পর্য্যন্ত ঘেরিলেও ঘেরিতে পারে; হংস পক্ষী জলের ভিতরে যেমন ডুবিয়া পড়ে, উচ্চ তরঙ্গের মধ্যে জাহাজখানও সেই রূপ ডুবিয়া গেল, আবার তরঙ্গ ফাঁপিয়া উঠিলে জাহাজখানও তাহার উর্দ্ধভাগে দৃশ্যমান হইল। এই রূপ দেখিয়া মৎস্য রাজ তনয়া বিবেচনা করিল, জাহাজ চালান বুঝি অত্যন্ত সুখ জনক, কিন্তু দুর্ভগা নাবিক লোক তৎসময়ে আপনাদিগকে বিপদগ্রস্ত দেখিয়া সে প্রকার বিবেচনা করিল না। কড়াৎ কড়াৎ শব্দ করিয়া জাহাজ খান ফাটিয়া যাইতেছে, অনবরত তরঙ্গাঘাতে উহার মোটা মোটা তক্তা সকল ক্রমে খসিতেছে, পরে একটা ছিদ্র হইয়া তাহার ভিতর দিয়া জল চোয়াইতে লাগিল। খাকড়া তৃণ যেমন দুইখান হইয়া ভাঙ্গিয়া যায়, জাহাজের মাস্তুলটা সেই রূপ হইয়া ভাঙ্গিয়া যাওয়াতে ঐ অর্ণবয়ান একদিকে হেলিয়া পড়িল, তজ্জন্যই উহার খোলের ভিতরে জল সেঁধিয়া গেল। তখন রাজকন্যার বোধ হইল যে জাহাজস্থিত লোক সকল এবার বিপদে পড়িয়াছে, উহার বড় বড় তক্তা এবং কড়িকাষ্ঠ গুলা চারিদিকে বিস্তীর্ণ হইয়া পড়িতেছে, পাছে উহাতে আপনাকে আঘাত লাগে এজন্য সকলে বিধিমতে সাবধান হইতে লাগিল। মুহূর্ত্তেকের মধ্যে এমনি অন্ধকার হইয়া উঠিল