এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৭)

জীবন পান এই আকাঙ্ক্ষায় সে বারম্বার তাঁহার মুখ মণ্ডলে কতই চুম্বন করিল।

 এইরূপ ভাসিতে ভাসিতে কত দূর যায়, ক্রমে একটা দেশের নিকটে গিয়া দেখে যে তন্মধ্যে অত্যুচ্চ নীলবর্ণের পর্ব্বত রহিয়াছে, তাহার উপরিভাগে বরফ পড়িয়া এমনি শুভ বর্ণ হইয়াছে যে দেখিলেই লোকে বোধ করে বুঝি শত শত শ্বেতবর্ণ রাজহংস আপনাদিগের পাখা গুলীন প্রসারিত করিয়া উহা আচ্ছাদিত করিয়া রহিয়াছে। ভূমির নিম্নভাগে সমুদ্র তটের নিকটবর্ত্তী একটা অতি সুন্দর হরিদ্বর্ণ বন, তৎসম্মুখ ভাগে একটা প্রকাণ্ড মন্দির, কিন্তু তাহা মন্দির বা কোন বড় মানুষের বাগান বাটী, ইহা সে নিশ্চয় রূপে জানিতে পারিল না, যাহা হউক উহা যে একটা বৃহৎ অট্টালিকা তাহার কোন ভুল নাই। আহা! ঐ অট্টালিকার সম্মুখবর্ত্তী উদ্যানের মধ্যে ফলবান্ উত্তমোত্তম বৃক্ষ সকল ফলের ভারে নত হইয়া পড়িয়াছে, কলম্বা কমলা প্রভৃতি কত লেবু রহিয়াছে তাহার সঙ্খ্যা করা যায় না। দ্বারের সম্মুখেই বড় বড় তালের গাছ। ঐ স্থানে একটা উপসাগর অর্থাৎ খাড়ির মত ছিল, সেখানকার জল গভীর বটে, কিন্তু সুস্থির ছিল। এজন্য সে রাজকুমারকে সমভিব্যাহারে