এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২)

 সমুদ্রের নিম্ন ভাগটা যে কেবল শ্বেত বর্ণ বালুকাময় স্থান, এমত বিবেচনা কখনই কর্ত্তব্য নহে। তত্রস্থ ভূমি সকলের মধ্যে এমত আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য বৃক্ষ লতাদি ও পুষ্প সকল জন্মায়, এবং তাহাদের পত্র ও বোঁটা গুলীন এমত নমনীয় যে মদোন্মত্ত লোক দিগের ন্যায় অত্যল্প সমুদ্রের হিল্লোলে তাহারা রক্তিম বর্ণ হইয়া আলোড়িত হইতে থাকে।

 পৃথিবীস্থ বৃক্ষ গণের শাখোপরি যেমন পক্ষীর এক ডাল হইতে অন্য ডালে গিয়া নানা প্রকার কেলী করিয়া বেড়ায়, তত্রস্থিত বৃক্ষ গণের উপরিভাগে মৎস্যেরাও সেই রূপ করিয়া থাকে। তত্রস্ত বালুকার মধ্যে যে স্থানটি অতি গভীর, সেই স্থানই সমুদ্রবাসী মহারাজের বাস স্থান। আহা! ঐ রাজ প্রাসাদের শোভার কথা কি বলিব, তাহার প্রবাল নির্ম্মিত প্রাচীর, এবং সুদীর্ঘ জানালা সকল চন্দরূষ অম্বরাদি গন্ধদ্রব্য দ্বারা নির্ম্মিত, নানা প্রকার কস্তূরা দ্বারা ঐ বাটীর ছাদ প্রস্তুত হইয়াছে, সমুদ্র জলের বেগানুসারে ঐ কস্তূরা কখন খোলা থাকে, কখন বা বন্ধ হইয়া যায়। আহা! তাহার কি সৌন্দর্য্য প্রত্যেক কস্তূরার ভিতরে এক একটা মুক্তা শোভিত আছে, সে আবার সামান্য মুক্তা নহে, পৃথিবীস্থ অতি