পাতা:মরুভূমিতে কনকপদ্ম.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > , ) প্রাপ্ত হয় না । বিদেশে যাইয়াও রামমোহনের আস্তরিক তেজস্বিত মীভূত হইল না। তিব্বতবাসিগণ লামা উপাধি ধারী জীবিত মনুষ্য বিশেষকে এই সুবিশাল বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের স্বষ্টিকর্তা বলিয়া তাহারই পূজা করিয়া থাকে,—তিব্বতে অবতারবাদ পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হইয়াছে । রামমোহন তাহা সহ করিতে পারিলেন না। ধিনি পৌত্তলিকতার প্রতিবাদ করিতে যাইয়া পিতৃগৃহ হইতে বিতাড়িত হইয়াছেন,—তিনি , ঈদৃশ অবতারবাদ,—মানবাত্মার এবম্বিধ অবমাননা সহ করিবেন কিরূপে ? রামমোহন রায় সেই বন্ধুবিহীন অসভ্য দেশেও প্রকৃত বীর পুরুষের ন্তায় অকুতোভয়ে এই বিকৃত ধৰ্ম্মর প্রতিবাদ করিতে দণ্ডায়মান হইলেন ; তদেশবাসিগণ র্তাহার বিরুদ্ধে খঙ্গহস্ত হইয়া উঠিল,—তথাপি তিনি প্রদীপ্ত তেজে তেজস্বী হইয়া অসত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে লাগি- ' লেন, শতবাধা বিপত্তিতেও ভীত হইলেন না । কিয়ৎকাল তিব্বতে অবস্থান-পূর্বক রামমোহন বিংশতি বৎসর বয়সে স্বদেখে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলে তাহার পিতা সম্লেছে তাছাকে পুনৰ্ব্বার গ্রহণ করিলেন। তিনি পিতৃগৃহে ফিরিয়া আসিয়া গভীর ভাবে সংস্কৃত শাস্ত্র চর্চায় অভিনিবিষ্ট হইলেন, হিন্দুশাস্ত্রসিন্ধু মন্থন-পূর্বক ব্ৰহ্মজ্ঞান রূপ অমূল্য রত্নের উদ্ধার সাধনে নিযুক্ত হইলেন । পিতা পুত্রে আবার বিরোধ বাধিল । পিতা মনে করিয়াছিলেন তিন চারি বৎসর বিদেশের বহুকষ্ট সহ করিয়া” রামমোহনের যথেষ্ট শিক্ষা লাভ হইয়াছে, পৈত্রিক ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে বাঙ নিস্পত্তি করিতে র্তাহার আর সাহস হইবে না । কিন্তু রামমোহন