পাতা:মরুভূমিতে কনকপদ্ম.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২১ )

থভাগিনী ভারতীয় ললনাগণেব অনন্ত দুঃখের কিয়ৎপধি মাণে অবসান হইত ।

বর্তমান সময়ে যে পাশ্চাত্যশিক্ষাব বলে দেশের অশেষ কল্যাণ সাধিত হইতেছে, ইহা কে না স্বীকাব কবিবেন ? ইহাব জন্যও ডেভিড্‌ হেয়াব লর্ড মেকলে প্রভৃতির ন্যায় রামমোহন বায়েব নিকটেও এদেশ ও সমাজ প্রচুবপরিমাণে ঋণী বহি য়াছে। ষৎকালে এদেশীয়দিগকে দেশীয় রীতিতে কি পাশ্চাত্য প্রণালীতে শিক্ষা প্রদত্ত হইবে, এই বিষয়ে রাজপুরুষদিগেব মধ্যে ঘোবতব তর্ক বিতর্ক চলিতেছিল, সেই সময়ে বামমোহন বায় বহুলযুক্তিপ্রয়োগদ্বাবা স্পষ্ট প্রদর্শন কবিলেন যে, কেবল সংস্কৃত অথবা পাবসী শিক্ষায় দেশের প্রকৃত উন্নতিৰ সম্ভাবনা নাই, ইংরেজী শিক্ষাব্যতীত লোকের দৃঢ়নিবদ্ধ কুসংস্কাৰ কখনই নিৰ্ম্মল হইবে না, এবং এই সকল কুসংস্কাৰ বিলুপ্ত না হইলে এই অধঃপতিত জাতিব কল্যাণেব আশা নাই , স্বতবাং এই হতভাগ্য দেশের উন্নতি সাধনার্থ পাশ্চাত্য শিক্ষাষ্ট নিতান্ত প্রয়োজনীয় । পরিণামে যে, পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনকাবীদিগেরই জয়লাভ হইল তাহা বলা বাহুল্য মাত্র । বামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার অমুকুলে কেবল নিজেব মত প্রকাশ করিয়াই ক্ষাস্ত ছিলেন না , ইহার সম্যক প্রচারেব জন্য, কায়মনোবাক্যে যত্নশীল ছিলেন । এবিষয়ে তিনি ডফু, cহয়াব প্রভূতিকে যেমন যথেষ্ট সাহায্য কবিযাছিলেন, তেমনি নিজেও একটা ইংবাজী স্কুল সংস্থাপন কবিয়া বালকদিগেব সুশিক্ষার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন । রামমোহন রায়ের চেষ্টা ব্রাহ্মসমাজস স্থাপন, সতীদাহ