অবতরণিকা
ভুবনবিখ্যাত শাহানশাহ্ মহম্মদ জলালুদ্দীন অকবরের পরবর্ত্তী মুগল বাদশাহ্গণ রসনার তৃপ্তিকর দ্রব্য ভোজন, সুরাপান ও রমণীমণ্ডলে বেষ্টিত হইয়া নৃত্য-গীত প্রভৃতি বিলাস-সাগরেই দিবানিশি মগ্ন থাকিতেন, তাঁহারা কখনও বিদ্যানুশীলন করিতেন না—এইরূপ প্রায় লোকেরই ধারণা। একথা যে একেবারে অপ্রকৃত এমন নহে। তথাপি তাঁহাদিগের মধ্যে দুই এক জন যে লেখাপড়া করিতেন এবিষয়ের নিদর্শন আজ পর্য্যন্তও বিদ্যমান রহিয়াছে।
নূরুদ্দীন জহাঙ্গীর বাদশাহ্ ঘোর মদ্যপায়ী হইলেও তাঁহার জীবনে সংঘটিত বিষয়াবলী বিবৃত করিয়। একটী “রোজনাম্চা” অর্থাৎ দৈনিক বিবরণী লিখিয়া গিয়াছেন—আর লিখিয়াছেনও ভালই। ঐ রোজনাম্চা পাঠ করিলে অবগত হওয়া যায় যে, ফার্সী ভাষায় তাঁহার বিশেষ অধিকার ছিল।
জহাঙ্গার বাদশাহের পর তৈমূর বংশের মিট্ মিট্ প্রদীপ স্বরূপ দিল্লীর শেষ মুগল বাদশাহ্ “মহম্মদ সিরাজুদ্দীন অবুজফর বহাদুর শাহ”-এর নাম উল্লেখযোগ্য। এই ভাগ্যহীন নামে মাত্র বাদশাহ্ যে ফার্সী ও