পাতা:মহম্মদ সিরাজুদ্দীন আবুজফর বাহাদুর শাহ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo বহাদুর শাহ, কোন সাহিত্যিকই এই ভাষায় লেখাপড়া করিতেন না। যাহা হৌক কেমবিকাশে ইহা উন্নত হইতে থাকিলে উক্ত ভাষায় কবিতাদি রচিত হইতে আরম্ভ হয় এবং ক্রমে “সৌদা”, “জোঁক”, “আতশ”, প্রভৃতি স্বপ্রসিদ্ধ কবিগণ বর্ণিত ভাষায় উচ্চ শ্রেণীর কবিতা রচনা করিয়া ইহার শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করেন। কিন্তু গালিব ব্যতীত তাহার কেহই কোন গদ্য পুস্তক লিখেন নাই । বহাদুর শাহের বহাঙ্কুর শাহ তাহার রচিত কবিতার ভণিতায় নিজ নাম “জফর”কবিতা রচনা ছ তখল্লু রূপে ব্যবহার করিতেন। উদু ভাষায় তিনি এত অধিক কবিতা লিখিয়াছেন যে, এইরূপ বহুসংখ্যক কবিতা আর কাহারও দ্বারা রচিত হইয়াছে কিনা বলিতে পারিন । তাহার “কুলীয়াত’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ কবিতা-সংগ্রহ দেখিলে মনে হয়—ইহা যেন একটী কবিতার সমুদ্র । সঙ্গীত চর্চ ব্যতীত বহাঙ্কুর শাহের দরবারে প্রায়ই “মশ” আরা” ( কবিসম্মিলন ) হইত বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায়। র্তাহার রচিত গজল অর্থাৎ গীতি কবিতার অনেকগুলি একসময়ে লোকে সচরাচর গাইত। যদিও অধুনা তাহ বিরল হইয়াছে, তথাপি সেই সমুদয় গজল যে একেবারে গীত না হয় এমন নহে—ঐসব গীতিকবিতা এখনও মাঝে মাঝে কোন কোন ব্যক্তিকে গাইতে শুনা যায়। সেই সময়ের সুপ্রসিদ্ধ কবি “জোঁক” ও “গালিব’এর রচিত কবিতা অদ্বিতীয় বলিয়া খ্যাতি লাভ করিয়া থাকিলেও বহাদুর শাহের রচিত কবিতা যে উক্ত দুই মহাকবির রচিত কবিতা হইতে কোন অংশে হীন—এইরূপ আমি মনে করিনা। তিনি যে সমুদয় কবিতা রচনা