পাতা:মহম্মদ সিরাজুদ্দীন আবুজফর বাহাদুর শাহ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহাদুর শাহু િ এই উদ্যানে প্রথম আমি কি কি ফুল দেখিয়াছি, { এখন ইহাতে যে ফুল ফুটিয়াছে তাহার অন্যরূপ স্ত্ৰাণ পাইতেছি। ধরা এক রাত্রির বাসস্থান তার অধিকাংশ চলিয়া গিয়াছে আছে অল্পই উহাকে বলিয়া দেও শুয়ে যেন নাপড়ে নিদ্রায় যে চেতন হারায় । বহাদুর শাহ, রেঙ্গুনে নির্বাসিত হইয়া এই কবিতা লিখিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় । কথিত আছে—বহাদুর শাহ “তসোঁঅফ অর্থাৎ সূফী মতের বহার অনুরাগী ছিলেন, এবং সচরাচর তিনি ঐ মতাবলম্বী ব্যক্তিগণের সহিত o সূফী মতসম্বন্ধে আলোচনা করিতেন । এই মতের উপর তাহার বিশেষ শ্রেদ্ধা ও বিশ্বাস থাকাতে তিনি যে সমুদয় কবিতা রচনা করিয়াছেন, তন্মধ্যে অনেকগুলিই সূর্য ভাবব্যঞ্জক। জ্ঞাত হওয়া যায় যে, সেই সব কবিতা সূফীগণের মজলিসে অাদরে গীত ও আবৃত্তি করা হইত। “সূফী’ মত বেদান্তেরই অনুরূপ। “নিয়োপ্লেটনিজম?” হইতে উক্ত মতের উদ্ভব হইয়াছে—এইরূপ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের অভিমত । কিন্তু বেদান্ত হইতেই সূফীমত উৎপন্ন হইয়া থাকা সম্ভব। কারণ বেদান্তের মূল মন্ত্র যেমন “সোহহং,” ঠিক তাহারই প্রতিশব্দ “অনঅল হকৃ”ও সূফীগণের মূলমন্ত্র । এ দুইটী শব্দের অর্থ “ব্রহ্ম ও আমি অভিন্ন” এই একই কথা । বৈষ্ণবের স্বয়ং প্রেমিকা হইয়া শ্ৰীভগবানকে যেমন প্রেমিক বা পতিভাবে আরাধনা করে, সূফীগণও সেই প্রকার স্বয়ং প্রেমপিপাসা হইয়া শ্ৰীভগবানকে প্রেমপত্রী রূপে সম্বোধন করিয়া থাকে। २