পাতা:মহাত্মা গান্ধীর ছাত্র জীবন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%

o মহাত্মা গান্ধীব ছাত্রজীবন খাইলেন। মৃত্যু ভয়ে আর বেশী খাইতে পারিলেন না। আত্মহত্যা চিন্তার ফলে ধূমপান চিরদিনের জন্য বন্ধ হইল। কিন্তু যে ধূমপান আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে, সেই বিষ পানের জন্য এখনও কত বালক লালায়িত । ইহার পর তিনি আরো গুরুতর একটি অপকৰ্ম্ম কবিলেন। মোহনৰ্চাদের এক দাদা মাংস খাইতেন। তিনি ২৫ টাকা ধাব করিয়া ফেলেন। টাকা শোধ দিবাব তাহাব কোন উপায় ছিল না । র্তাহার হাতে একটি সোনাব বাজুবন্ধ ছিল । মোহনৰ্চাদ তাহা হইতে এক টুকরা সোনা কাটিয লইলেন। কি শোচনীয় অধঃপতন । বিবেক গান্ধীকে দংশন কবিতে লাগিল । তিনি স্থিব থাকিতে পারিলেন না। অবশেষে একখানি চিঠিতে পিতাব নিকট সকল কথা লিখিয়া প্রকাশ করিলেন । র্তাহাব পিতার তখন বড় অসুখ । তিনি চিঠি পডিলেন । র্তাহার অশ্রু গড়াইয়া পডিতে লাগিল । তিনি কিছু বলিলেন না। তিনি যে কিছু বলিলেন না, তিনি যে কঁদিলেন এই মেহের শাসন গান্ধীর অসহ্য হইল। তিনি কঁাদিয়া আকুল হইলেন। অনুতাপের গঙ্গায় গান্ধীর জীবন পবিত্র ও শুভ্র হুইল । তিনি প্রেমের শক্তিব প্রকৃত পরিচয় অনুভব করিলেন । অহিংস মন্ত্রে তাহাব দীক্ষা হইয়া গেল । এই অহিংস মন্ত্রই নবযুগের শ্রেষ্ঠ মন্ত্র। যুগে যুগে ইহার পরীক্ষা হইয়াছে সত্য, কিন্তু বর্তমান যুগেই ইহার সর্বপ্রধান পরীক্ষা আরম্ভ হইয়াছে। প্রেমের জগতে ইহা অপেক্ষ মহৎ আর কী আছে ? ૨8