পাতা:মহাত্মা গান্ধী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহাত্মা গান্ধী

 মহাত্মাজি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ নানা উপলক্ষে যাহা বলিয়াছেন ও লিখিয়াছেন বিভিন্ন সাময়িক পত্র ও পুস্তিকা হইতে এই গ্রন্থে তাহা সংকলিত হইল।

 ১৩৩৮ ও ১৩৪৪ সালে শান্তিনিকেতনে মহাত্মাজির জন্মোৎসবে রবীন্দ্রনাথ যাহা বলেন তাহাই ‘গান্ধীজি’ ও ‘মহাত্মা গান্ধী’ প্রবন্ধের মূল। হিন্দু অনুন্নত শ্রেণীর পৃথক নির্বাচন স্বীকার করিয়া হিন্দুসমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিচ্ছেদকে আইনত স্থায়ী করিবার যে চেষ্টা হয় সেই অকল্যাণের প্রতিবিধানকল্পে ১৩৩৯ সালের চৌঠা আশ্বিন মহাত্মাজি অনশনব্রত গ্রহণ করেন; সেই সংকটকালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন-আশ্রমবাসীদের সম্বোধন করিয়া যাহা বলেন তাহাই ‘চৌঠা আশ্বিন’ ও ‘মহাত্মাজির পুণ্যব্রত’ প্রবন্ধে লিখিত হইয়াছে। মহারাজির অনশনসময়ে তাহাকে দর্শন করিবার আগ্রহে রবীন্দ্রনাথ য়েরোডা জেলে গমন করেন এবং তাহার ব্রত-উদযাপনকালে উপস্থিত থাকেন; এই সংকলনের শেষ প্রবন্ধে তাহারই বিবরণ পাওয়া যায়।

 মহাত্মাজির আগামী জন্মদিবসে আনন্দোৎসবের অর্ঘ্যরূপে এই গ্রন্থ প্রকাশের ইচ্ছা ছিল, কিন্তু জাতির দুরদৃষ্টক্রমে অশ্রুজলের তর্পণরূপে ইহা উপস্থিত করিতে হইল।•••

২৯ মাঘ ১৩৫৪