পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। যিনি নানা ক্লেশ ও অর্থাভাবের মধ্যেও নিৰ্দ্ধারিত বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া অন্যসাহায্যনিরপেক্ষ স্বাধীন জীবন যাপনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন, র্তাহার মনে স্বাধীনভাব ও ধৰ্ম্মসাধনে ঐকাস্তিকতা কত অধিক ছিল, তাহা সহজেই অনুমান করা যায়। যিনি সাতশত ঘর শিষ্যের সহায়তা পরিত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্মসাধনের উদ্দেশ্যে ক্লেশের জীবন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তঁহার স্বাৰ্থত্যাগ অসামান্য সন্দেহ নাই। এই স্বাৰ্থত্যাগের পরিণামফল চিন্তা করিলে বিস্ময় জন্মে। কত সময় ক্ষুধায় খাদ্যের অভাবে, রোগে ঔষধ-পথ্যের অভাবে, শীতে শীত-বস্ত্রের অভাবে তাহার পরিবার পরিজনকে দারুণ ক্লেশ সহস্থা করিতে হইয়াছে । ইহা অপেক্ষা আর স্বাৰ্থত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কি হইতে পারে ? সংসারের শত শত নরনারী দারিদ্র্যের বিনিময়ে স্বচ্ছলতা লাভ করিয়া অনায়াসে ধৰ্ম্ম, ন্যায়, প্ৰেম, বিসর্জন দিতেছে ; আর এই মহাত্মা সকল বিসর্জন দিয়া কেবল ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিয়াই সুখী ও আনন্দময় হইয়াছেন । এরূপ মানুষের তুলনা-স্থান পৃথিবীতে দুল্লভ । গোস্বামী মহাশয় তাহার শান্তিপুরের ব্ৰাচীতে কথঞ্চিৎ সুস্থত। লাভ করিয়া আশ্বিন মাসের শেষ ভাগে ১২৭২ বঙ্গাব্দে, কলিকাতা উপস্থিত হইলেন ; এবং তথা হইতে কেশবচন্দ্ৰ ও অঘোরনাথের সঙ্গে ৩০শে আশ্বিন পুনরায় প্রচারার্থে পূর্ববঙ্গে যাত্ৰা করিলেন । প্রচার কাৰ্য্যে তঁাহার বিশ্রাম ছিল না, যেন ঝড়ের মত ছুটিয়া চলিয়াছেন ; কোথায়ও এক সপ্তাহ, কোথায়ও দুই সপ্তাহ, কোথায় বা ততোধিক সময় অবস্থান করিয়া বক্তৃতা উপাসনাদি করিয়াছেন, এবং কাৰ্য্যাবসানে পুনরায় স্থানান্তরে চলিয়া গিয়াছেন। পরিশ্রমে ক্লাস্তি নাই, আহার নিদ্রার প্রতি দৃষ্টি নাই, অথচ কোন কোন দিন দুইবার তিনবার উপাসনা, বক্তৃতা করিতে হইয়াছে। এইরূপ ক্লান্তি-বিহীন