পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । & "বরিশাল আসিয়া দুৰ্গামোহন ‘বাবুর বাসায় অবস্থিতি করিতেছি। দুৰ্গামোহন বাবু আমাদের প্রধান বল। -ঈশ্বর - ইহাকে দীর্ঘজীবী, করুন। দুর্গামোহন বাবুর স্ত্রী অত্যন্ত সরলা । ইহার কোন কুসংস্কার নাই, আমাদের সঙ্গে ইনি সমস্বরে উপাসনা করেন। বরিশালে একটী ইষ্টক নিৰ্ম্মিত ব্ৰাহ্মসমাজ গৃহ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এখানকার ব্ৰাহ্মস্রাতৃগণ উৎসাহী, এখানে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের জীবন্ত ভাব দেখিয়া সন্তুষ্ট হইলাম। . বরিশাল হইতে কুমিল্লা যাইতে কৃতসংকল্প হইয়াছি । * * আর ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে কপটতা দ্বারা আচ্ছন্ন দর্শন করিয়া দুঃখিত হইতে পারি না । আমার শরীরের এক এক বিন্দু রক্ত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে পোষণ করুক ইহাই আমার প্রার্থনা।” ১৭৮৭ শক, ১৮ই পৌষ বরিশাল । অতঃপর তিনি বরিশাল হইতে নোয়াখালি যাত্ৰা করেন । পথে নৌকায় যাইতে যাইতে নদীর তরঙ্গে পড়িয়া মাঝিরা পুনঃ পুনঃ উচ্চৈঃস্বরে ঈশ্বরের নাম করিয়াছিল, মাঝিদের বিশ্বাস ও ঈশ্বরে নির্ভুর দেখিয়া তাহার মনে হইল যে—“সরল বিশ্বাস বিপদ কালের আকৃত্ৰিম বন্ধু ।” নোয়াখালি ব্ৰাহ্মসমাজে গিয়া তিনি প্রথমে ৫।৬ জন লোক উপস্থিত দেখিয়াছিলেন । কারণ এখানকার লোকেরা সামাজিক ভয়ে অনেকেই ব্ৰাহ্মসমাজে আসিত না । এখানে তিনি ৫৬দিন অবস্থান “করেন এবং এক দিন কোট-ইনস্পেক্টরের গৃহে “মানুষ্যের কৰ্ত্তব্য’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন। যে স্থানে ৫।৬ জনের অধিক লোক আসিত না তথায় র্তাহার বক্তৃতায় প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত হইয়াছিল। নোয়াখালি হইতে তিনি ৫ই মাঘ চট্টগ্রাম যাত্ৰা করেন ; পথে চট্টগ্রাম পাহাড়, চন্দ্ৰনাথ পাহাড় ও রঘুনন্দনের পাহাড় দর্শন করেন । চন্দ্ৰনাথ পাহাড়ের মহন্ত বাবাজির চালচলন দেখিয়া তাহাকে বিষয়ী