পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। y ey চট্টগ্রাম হইতে গোস্বামী মহাশয় ১৬ই মাক কুমিল্লা যাত্রা করেন ; এবং তথায় চৌদ্দ পােনর দিন অবস্থান করিয়া মন্দিরে ও ব্রজসুন্দর বাবুর গৃহে উপাসনাদি করেন। তথায় ২২শে মাঘ ত্রিপুরা শাখাসমাজে ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুলত বিষয়ে উপদেশ, ২৩শে ত্রিপুরা ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনা বিষয়ে উপদেশ, ২৪শে ব্রজসুন্দর বাবুর গৃহে উপাসনা বিষয়ে উপদেশ প্রদত্ত হয় ; ২৫শে পরমেশ্বর মানুষ্যের ত্ৰাণকৰ্ত্তা বিষয়ে বক্তৃতা, ২৭শে ঈশ্বরপ্রেমই আনন্দের প্রস্রবণ বিষয়ে বক্তৃতা, ২৯শে ত্রিপুরা শাখাসমাজে একমাত্র ঈশ্বরই মনুষ্য-জীবনের লক্ষ্য বিষয়ে উপদেশ, ব্রজসুন্দর বাবুর গৃহে উপাসনকালে এক ঈশ্বরের উপসনা বিষয়ে উপদেশ প্রদত্ত হয় । ১লা কান্তুন ত্রিপুরা ব্ৰাহ্মসমাজে ব্ৰাহ্মসমাজ পাপীদিগের চিকিৎসালয় বিষয়ে বক্তৃতা, ৩রা একমাত্র ঈশ্বর আমাদের প্রভু বিষয়ে বক্তৃতা, ৫ই ব্রজসুন্দর বাবুর গৃহে পরিত্রাণ ও গৃহ-ধৰ্ম্ম বিষয়ে উপদেশ, প্রদত্ত হয়। তৎপর ৬ই ফাস্তুন কুমিল্লা হইতে ব্ৰাহ্মণবাড়িয়া যাত্রা করেন । তথায় চারি পাঁচ দিনে পরিত্ৰাণ, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম কি, উপাসনা ইত্যাদি বিষয়ে বক্তৃতা এবং নানা স্থানে উপাসনা হয়। এখানে একটী বৃদ্ধ তাহার উপদেশে মোহিত হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্ৰহণ করেন । এ সম্বন্ধে তাহার পত্রে এইরূপ লিখিত ছিল :- “একটী বৃদ্ধ পৌত্তলিকতা পরিত্যাগ করিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছেন। আমার বোধহয় প্ৰত্যেক স্থানের ব্ৰাহ্মগণ, যদি আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত প্ৰতিদিন নিয়মিত রূপে ঈশ্বরের পূজা করেন, এবং আত্মদোষ দর্শনে কৃতযত্ন হন তবে শীঘ্রই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের জয়লাভ হইবে । , ১৭৮৭ শক ১০ই ফান্তুন ব্ৰাহ্মণবাড়িয়া ।” 等 ব্ৰাহ্মণবাড়িয়া হইতে তিনি পুনরায় বরিশাল গিয়া পঁচিশ ছাব্বিশ দিন অবস্থান করেন । সেখানে নানা পরিবারে ও ব্ৰহ্মমন্দিরে