পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । | 8 هد এরূপ সংস্থান নাই ৷-“পিয়সার অনাটন বশতঃ আপনাকে ( ব্রজসুন্দর বাবুকে) পত্র লিখিতে পারি নাই। এবার বেয়ারিং লিখিতে হইল । আমার স্ত্রীর শরীর অসুস্থ আছে। রীতিমত ঔষধ পথ্য দিলে শীঘ্ৰ সুস্থ হইতে পারিতেন । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মঙ্গলের জন্য এইরূপে শরীর নাশও, ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ । কেবল আমার নহে, প্ৰত্যেক প্রচারকের পরিাবারেরই এইরূপ দুৰ্দশা। মরুক সকলে শুষ্ক কণ্ঠায় অনাহারে রোগবিকারে, কেবল ঈশ্বরের জন্যই প্ৰাণত্যাগ করুক ; তবু যেন কেহ। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের জয় ঘোষণা করিতে বিরত না হন এই আমার আন্তরিক বাসনা ।” ১৭৮৮শক ৫ই জ্যৈষ্ঠ কলিকাতা । * কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া নধ্যদল কিছুদিন এই প্রকার দারুণ দুরবস্থায় যাপন করেন। তখন প্রাচীন সংস্কারপন্ন হিন্দুগণ তঁহাদের বিরোধী, আবার সুসংস্কৃত প্ৰাচীন ব্ৰাহ্মগণও তঁহাদের বিরোধী ছিলেন । সুতরাং সংসারের আশ্রয় অভাবে তাহদের দৃষ্টি বিশেষ ভাবে পরমেশ্বরের প্রতি ন্যস্ত হইয়াছিল । এই সময় গোস্বামী মহাশয় ব্রজসুন্দর বাবুকে লিখিয়াছিলেন—“অনাথ নাথ ঈশ্বর ভিন্ন আমাদের দাড়াবার স্থান নাই । ক্ৰমে ক্ৰমে সকল বন্ধু বান্ধবই আমাদিগকে পরিত্যাগ করিতেছে, কোন দিন শরীরও ত্যাগ করিবে: ঈশ্বরে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস হউক যিনি দুঃখীদিগের বন্ধু।” “তখন তঁহাদের এরূপ অবস্থা যে কুলায়-হীন পক্ষী অথবা গৃহ-হীন, দরিদ্রের ন্যায় তাহাদিগকে কত সময় পথে পথে ভ্ৰমণ করিতে হইয়াছিল । প্ৰতি রবিবার বন্ধুগণ একত্ৰ হইয়া উপাসনা করিবেন। এরূপ স্থানও তাহদের ছিল না । ৩০০ নং চিৎপুর রোডস্থ ভবন, তাহাদিগের একমাত্ৰ প্ৰকাশ্য স্থান ছিল। এখানেই তঁাহারা বন্ধুগণসহ উপাসনা • • ব্রজসুন্দর বাবুকে লিখিত পত্র হইতে উদ্ধত ।