পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । · »•ፃ গোস্বামী মহাশয়ের অর্থাভাব ও ক্লেশ সম্বন্ধে একজন প্ৰাচীন মহিলা বলিয়াছেন ঃ-তােহাদের যে কত দিন অনাহারে গিয়াছে তাহার কোন হিসাব নাই। কত সময় এমন হইয়াছে যে দিবস রজনী কাটিয়া গিয়াছে। তবু আহার হয় নাই। শীতকালে শীতবস্ত্রাভাবে দারুণ ক্লেশ সহ করিয়াছেন ; কিন্তু তবু কাহারও নিকট প্রার্থী হন নাই । তাহার শ্বাশুরী কত সময় পাতকৃয়ার জল পান করিয়া ক্ষুধার নিবৃত্তি করিয়াছেন। এক দিন খাবার কিছুই নাই, গোস্বামী মহাশয় একুখান৷ উৰ্ণি গায়ে গৃহ হইতে বাহির হইয়া সমস্ত দিন গোলদীবীর ধারে প্রার্থনা করিয়া কাটাইলেন ; এবং সন্ধ্যাকালে গৃহে আসিয়া নিঃশব্দে শুইয়া রহিলেন । অবস্থা বুঝিয়া তাহার শ্বাশুরী, স্ত্রীও গিয়া শুইয়া রহিলেন । ইতিমধ্যে শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“আজ কি ব্যবস্থা হইয়াছে ?” গোস্বামী মহাশয় কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া বলিলেন—“প্ৰতিদিনই ঈশ্বর চালাইয়া থাকেন। কিন্তু অদ্য আমরা চালাইতে চাহিয়াছিলাম। তাই...... । বন্ধুবর যদু বাবু ব্যাপার বুঝিয়া পকেটে হাত দিলেন, কিন্তু তাহার পকেটে দেড় পয়সা মাত্র ছিল । উহা দিয়া মুড়ি আনা হইল এবং তদ্বারা তিন জনের ক্ষুধা দূর করিলেন । যাহারা ধৰ্ম্মার্থে এই সকল ক্লেশ স্বেচ্ছাপূৰ্ব্ব গ্রহণ করিতে পারেন। ধৰ্ম্ম তাহাদের উপর। প্ৰসন্ন হইবেন তাহাতে সন্দেহ কি ? গোস্বামী মহাশয় এই সমস্ত ক্লেশকে বৈরাগ্য ও সহিষ্ণুতা শিক্ষারই সহায় মনে করিতেন । শিষ্যগণের সহায়তায় জীবন ধারণ অপেক্ষা, চিকিৎসা দ্বারা স্বচ্ছন্দে জীবিকা নির্বাহ অপেক্ষা, বৈরাগ্যের জীবন, ধৰ্ম্মানুশীলনের জীবন তাহার নিকট শ্রেয় বিবেচিত হওয়াতেই তিনি এইরূপ নিম্পেষণের জীবন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । এক দিকে এই ক্লোশরাশি