পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । مجاهلا অপর দিকে দায়িত্বপূৰ্ণ কাজেরও তাহার অন্ত ছিল না। ཡ་ཝ་ཀ་ཅ་ཏ་ প্ৰবন্ধ লেখা, ব্ৰাক্ষিকাদিগকে শিক্ষা দান, বক্তৃতা, ধৰ্ম্মসাধন সৰ্বদ চলিতেছিল। কিন্তু এইরূপ অবস্থার মধ্যেও তাহার মুখে উৎসাহের উদ্দীপনা ও জীবন্ত ভাব সর্বদা বিরাজ করিত । প্ৰাচীন ও নবীন দলের মতভেদ ঘনীভূত হইলে ১৭৮৮ শকের ২৬শে কাৰ্ত্তিক নবীন ব্ৰাহ্ম দলের উদ্যোগে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা হইল । তখন সৰ্ব্বজনমান্য কেশবচন্দ্ৰ উক্ত দলের অগ্ৰণী, আর বিজয়কৃষ্ণ তঁহার দক্ষিণহস্তস্বরূপ ছিলেন । কেশবচন্দ্রের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা হইলে গোস্বামী মহাশয়ের উপর পূর্ববঙ্গের—ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ প্ৰভৃতি স্থানে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের ভার পড়িল । তাহার ঢাকার কাৰ্য্যের আভাস পূর্বেই প্রদত্ত হইয়াছে। এখন তথায় পুনরায় তাহার উৎসাহিপূর্ণ বক্তৃতা, উপদেশ ও দৃষ্টান্তে অনেক ব্যক্তি উপবীত ত্যাগ করিয়া প্ৰাচীন সংস্কারের মস্তকে কুঠারাঘাত করিতে আরম্ভ করিলেন । ঢাকার অবস্থা সম্বন্ধে তৎকালে এইরূপ লিখিত হইয়াছিল। :-“প্রচারক མ་༼ནོན་ পূর্বে এই স্থানের অবস্থা অত্যন্ত হীন ছিল। প্রচারক আগমনের অল্প দিন মধ্যে যথেষ্ট উন্নতি দৃষ্ট হয়। অনেক কৃতবিদ্য যুবক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন। অনেকে পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হন । অনেকের ধোপা নাপিত বন্ধ হওয়ায় বিষম কষ্টে নিপতিত হন । কেবল যে ঢাকাতেই এইরূপ হইয়াছিল। তাহা নহে, গোস্বামী মহাশয়ের প্রাণস্পশী বক্তৃতা ও উপাসনায় পূর্ববঙ্গলার অনেক স্থানেই এইরূপ সংস্কার ও ধৰ্ম্মান্দোলন আরম্ভ হইয়াছিল।” ঢাকা অবস্থানকালে তিনি ময়মনসিংহে যে ভাবে প্রচার করিয়াছিলেন তদ্বিবরণ উদ্ধত করিতেছি :- “১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র এখানে ব্ৰাহ্মধন্মের যে অগ্নি প্রধূমিত