পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । s রাখিয়া যান, ১৮৬৭ সালের প্রথম ? ভাগে মহাতেজস্বী প্রচারক বিজয়কৃষ্ণ এখানে আসিয়া সেই অগ্নি প্ৰজ্বলিত করিয়া তুলিলেন । তাহার বক্তৃতায় যেন অগ্নি-বৃষ্টি হইত, উহাতে মৃত দেহে নব্য-চেতনার সঞ্চার হইত। স্থানীয় বিজ্ঞাপনী নামক সংবাদপত্রিকায় তাহার প্রচার কাৰ্য্যের বিবরণ • প্ৰকাশিত হইয়াছিল। তিনি নগরের নানাস্থানে —-৩০শে মাঘ “ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজ” ৫ই ফাস্তুন “উপাসনা” ১৭ই “মুক্তি” ১১ই “পবিত্ৰতা” ১৪ই “সংসার’। ১৮ই ‘পৌত্তলিকতা”। বিষয়ে বক্তৃতা করেন। তঁহার বক্তৃতা শ্রোতার শ্রুতিসুখ উৎপাদনা করিয়া বিরত হইত না, হৃদয়ে অগ্নি প্ৰজ্বলিত করিয়া দিত । সত্য সত্যই বিজয়কৃষ্ণের বিজয়-ভেরীতে নগর কম্পিত হইতে লাগিল । বাবু ঈশানচন্দ্ৰ বিশ্বাস, জমিদার রামচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওভারসিয়ার গোপালচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজ্ঞাপনী সম্পাদক জগন্নাথ অগ্নিহোত্ৰী উপবীত পরিত্যাগ করিলেন। বাবু পাৰ্ব্বতীচরণ রায়, গোবিন্দচন্দ্ৰ গুহ, গোপীকৃষ্ণ সেন, গিরিশচন্দ্ৰ সেন এবং দুর্গাশঙ্কর গুপ্ত প্ৰভৃতি উৎসাহী ব্যক্তিগণ গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে আহারাদি করিয়া প্রকাশ্যে মিলিত হইলেন । ব্ৰাহ্মসমাজের অভু্যত্থানে হিন্দুসমাজে ঘোরতর আন্দোলন উপস্থিত হইল । র্যাহারা প্ৰকাশ্যে গোস্বামী মহাশয়ের সহিত মিলিত হইয়।- ছিলেন, উপবীত পরিত্যাগ করিয়া জাতিভেদের প্রতি কঠোর আঘাত । করিয়াছিলেন, তঁহাদের উপরে ভীষণ অত্যাচার আরম্ভ হইল । বিজয় বাবু যাইতে না যাইতে দুৰ্গাবাড়ীতে হিন্দুসভা বসিল, ব্ৰাহ্মদিগকে শাসন করিবার বিবিধ উপায় উদ্ভাবিত হইল । জেলাস্কুলের প্ৰধান পণ্ডিত পার্বতীচন্দ্ৰ তর্করত্ন এই আন্দোলনের নেতা হইলেন । বিজয় বাবু। ১১ই ফাস্তুন পবিত্ৰত বিষয়ে বক্তৃতা করিলেন ; তাহাতে