পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ys& মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । উৎসাহে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। “পরিবার কল্য কি খাইবে ঠিক নাই, অথচ সকলে প্ৰবল উৎসাহে চারি দিকে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার/ করিতে লাগিলুেন। ঈশা বলিয়াছেন—‘কল্যকার জন্য ভাবিও না।” আর এই প্রচারকগণ আদ্যকার জন্যও ভাবিলেন না। দরিদ্রতার একশেষ। প্রচারকদিগের কষ্ট-সহিষ্ণুতার কথা স্মরণ করিলে হৃদয় আপন হইতে র্তাহাদিগকে শত ধন্যবাদ প্ৰদান না করিয়া থাকিতে পারে না । তঁহার দারিদ্র্যের কশাঘাত সহ্যু করিয়াও যেরূপ প্ৰফুল্লচিত্তে ‘প্রচার-ব্ৰত পালনে রত রহিয়াছিলেন তাহা স্মরণ করিলে কে না। তাহাদের প্রকৃত মহত্ত্ব অনুভব করিতে পারেন ? কি আশ্চৰ্য্য তঁহাদের প্রচারোৎসাহ * * গোস্বামী মহাশয় অতঃপর তাহার সহযোগী ভ্ৰাতা সাধু অঘোরনাথ এবং বন্ধু যদুবাবুকে সঙ্গে লইয়া সপরিবারে বরিশাল যাত্ৰা করিলেন। বরিশালস্থ দুৰ্গামোহন দাস মহাশয়ের সহায়তায় তথায় তঁহাদের কাৰ্য্য প্ৰবল উৎসাহে আরম্ভ হইল। দুৰ্গামোহন বাবু সন্ত্রীক এই প্রচারক পরিবার বর্গকে যেরূপ সাদরে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, এবং তঁহাদের কাৰ্য্যের সর্বপ্রকারে সহায়তা করিয়াছিলেন, সেরূপ অতি অল্প লোকেই করিতে পারে। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বলিয়াছেন,-“দুৰ্গামোহন বাবুর ভূত্যগণ কখনও এই প্রচারক ‘পরিবারের কাৰ্য্যে অমনোযোগ প্ৰদৰ্শন করিলে দুর্গামোহন বাবু স্বয়ং তঁহদের এমন সকল কাৰ্য্য স্বহস্তে করিয়া দিতেন যাহাতে ड्रडा। লজ্জিত হইত ; এবং ইহাদিগকে বাবুর গুরুঠাকুর মনে করিয়া অবশেষে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়া ইহাদের কাৰ্য্যাদি করিত।” বরিশালে ইহাদের চেষ্টায় রাখাল বাবুর গৃহের সামাজিক অনুষ্ঠানাদি صبيض= قللسي

  • তত্ত্বকৌমুদী ১৮১০ শক। ১লা আষাঢ়া