পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । , yev ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম মতে সম্পন্ন হইতে আরম্ভ হয়। ইহঁরা গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করিলে সর্বত্র সংস্কার, পরিবর্তন ও আন্দোলন উত্থিত হয়। শুনিয়াছি বরিশালে অবস্থান,কালে তথাকার লোকের ধৰ্ম্মহীনতায় ব্যথিত হইয়। তিনি একবার নদীতে ডুবিয়া আত্মহত্যা করিতে গিয়াছিলেন । কিন্তু দৈববাণী শুনিয়া নিবৃত্ত হন । তাহার হৃদয় এতই কারুণ্য-পূৰ্ণ ছিল যে লোকের পাপ দুঃখ একেবারে সাহা করিতে পারিতেন না । এই সময় একদিন দুৰ্গামোহন বাবু তাহাকে একখানি উৎকৃষ্ট শীত বস্ত্ৰ ক্ৰয় করিয়া দিয়াছিলেন । কিন্তু গোস্বামী মহাশয় পথের একটী দুঃখী লোককে শীতে কাতর দেখিয়া তাহাকে ঐ বস্ত্ৰ দান করেন । দাস মহাশয় আর একখানি কিনিয়া দিলেন । দ্বিতীয় বস্তুখানিও ঐকাপে বিতরিত হইল । তখন দাস মহাশয় একখানি মোটা কাপড় কিনিয়া দিলেন । * এই সময় একবার তাহারা পািনর বিশ জন বন্ধু মিলিত হইয়া অ[ম- দিয়া, পাঁচদোনা, কালিকচ্ছ প্ৰভৃতি গ্রামে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে গিয়াছিলেন। ইহাতে কালিকচ্ছের বিখ্যাত শ্ৰীযুক্ত আনন্দচন্দ্র নন্দী মহাশয় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পড়েন । তঁহার উদ্যোগে তাহার গৃহের দুর্গাপূজার মন্দিরে ব্ৰাহ্মসমাজের কার্য্য হয়, এবং নন্দী পরিবার দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করিয়া একেশ্বরের পূজায় প্রবৃত্ত হন। তৎকালে গোস্বামী মহাশয়ের উচ্ছাস্যময়ী বক্তৃত, হৃদয়স্পর্শিনী । উপাসনা ও উপদেশে সৰ্ব্বত্ৰ জাগ্ৰত ভাব আনয়ন করিয়াছিল। এই সময়ের উপদেশের প্রধান ভাব ছিল ৪—“পৌত্তলিকতার সহিত সংস্রব ত্যাগ কর, একমাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের উপাসনা করি, জাতিভেদ পরিহার পূর্বক মনুম্ভের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন কর, নিয়ত প্রার্থনা কর, 米可可T5t丕5>心o心旧