পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । হৃদয় কারুণ্যে পূর্ণ ছিল, কাহারও দুঃখ দেখিলে অধীর হইয়া পড়িতেন। একবার বরিশালের জমিদার রাখাল বাবুর একজন পাচক কৰ্ম্মচূর্ত হইয়া কলিকাতা আসে, এবং অনাহারে সপরিবারে যারপর নাই কষ্ট পায় । গোস্বামী মহাশয় ইহাদের ক্লেশ দর্শনে স্থির থাকিতে না পারিয়া দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া অর্থ সংগ্ৰহ করিতেন, এবং শিয়ালদহে তাহদের বাসায় গিয়া দিয়া আসিতেন । একবার তিনি কৃষ্ণনগরে কলেরাক্রান্ত একজন নিরুপায় লোকের জীবন রক্ষার জন্য প্ৰাণপণে সেবা শুশ্রীক্ষা করিয়াছিলেন । তঁহার সেবার গুণে ঐ ব্যক্তির জীবন রক্ষা হইয়াছিল । একবার তিনি বাগতিৰ্মাচড়া হইতে একটী কাঙ্গাল বালককে সঙ্গে করিয়া আনিয়া কলিকাতায় তাহার লেখাপড়ার সুবিধা করিয়া দিয়াছিলেন এবং নিজের গাত্রাবস্তু তাহাকে দিয়া সারারাত্ৰি দুঃসহ শীতে দারুণ ক্লেশ ভোগ করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছেন-“ঐ দিন প্ৰাতে সুৰ্য্যোদয় দেখিয়া যেমন আনন্দ অনুভূত হইয়াছিল সেরূপ আনন্দ পূর্বে আর কখনও হয় নাই।” এইরূপে কত লোকের হিতসাধন করিয়াছেন তাহ নিৰ্ণয় করা দুরূহ। নারীর স্বাধীনতা । এক সময়ে ব্ৰাহ্মসমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা লইয়া খুব আন্দোলন উঠিয়াছিল । কতিপয় শিক্ষিত ব্যক্তি মহিলাদের স্বাধীনতা দানে উৎসুক হইয়া তাহাদিগকে লইয়া প্ৰকাশ্য সভায় গমন করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। গোস্বামী মহাশয়ের নিকট ইহা সঙ্গত বিবেচিত হওয়ায় তিনিও উক্ত কাৰ্য্যে অগ্রসর হইলেন ; সহধৰ্ম্মিণীকে বুট, পাউন পরাইয়া প্ৰকাশ্য পথে ও সভাদিতে গমন করিতে লাগিলেন। তঁহার নিকট যখন যাহা সত্য ও ন্যায়-সঙ্গত বোধ হইত। তাহার অনুষ্ঠানে তিনি চিরজীবন এইরূপ নিৰ্ভীকতার পরিচয় দিয়াছেন।