পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ) পাঠ করিতে পরামর্শ দিলেন। ইহার মধুর ও কোমল বাক্য যেন তাহার দগ্ধ হৃদয়ে শান্তিবারি বর্ষণ করিল ; এবং উক্ত গ্রন্থে প্ৰেমাবতার গৌরাঙ্গের বিনয়-ভক্তি ও ব্যাকুলতার জীবন্ত বৰ্ণনা পাঠ করিয়া তাহার প্রখর আত্মদৃষ্টি জন্মিল। “জীবে দয়া নামে ভক্তির তত্ত্ব হৃদয়ে প্রবেশ, করায় বাহিরের ধৰ্ম্মানুষ্ঠান যে পরলোকের সম্বল নহে, কেবল দয়াময়ের অভয় চরণই সম্বল তাহা স্পষ্ট প্ৰতীয়মান হইল” ; এবং তৎসঙ্গে “অসহনীয় অনুতাপে হৃদয় দগ্ধ হওয়াতে’ ধৰ্ম্মসাধনে ঐকান্তিকী নিষ্ঠা জন্মিল। আর সেই নিষ্ঠার ফলস্বরূপ হৃদয়মধ্যে দিন দিন নিত্য নুতন অমৃতের খনি আবিষ্কৃত হইতে লাগিল । এই সময় এক দিন তিনি তাহার বন্ধু নীলকমল দেবের সঙ্গে নবদ্বীপে চৈতন্যদাস বাবাজির নিকট গমন করেন, এবং তঁহাকে ভক্তি লাভের উপায় জিজ্ঞাসা করেন । ভক্তি বিষয়ক প্রশ্ন শুনিয়া ‘বাবাজির এতদূর প্রেমোচ্ছাস হইয়াছিল যে তঁহার শরীর রোমাঞ্চিত হইয়া মস্তকের টিকি পৰ্য্যন্ত খাড়া হইয়া উঠিয়াছিল । তিনি বলিলেন—“যদি প্ৰেম ভক্তি লাভ করিতে চাও, তবে দীনহীন অকিঞ্চন হও ; অন্তরে এক বিন্দু অহঙ্কার থাকিলেও ভক্তিলাভ হইবে না । জলস্রোত যেমন উৰ্দ্ধগামী হয় না, ভক্তিও তদ্রুপ অহঙ্কত মনে উদিত হয় না ।” * তিনি শান্তিপুর হইতে নবদ্বীপ গমন পথে একরাত্ৰি কৃষ্ণনগরে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের গৃহে বাস করিয়াছিলেন , নবদ্বীপ হইতে ফিরিবার সময় চট্টোপাধ্যায় মহাশয়কে বলিলেন“আমি চৈতন্যদাস বাবাজির ভক্তি উপদেশে কৃতাৰ্থ হইয়াছি । বাবাজি আমাকে কিছু আহার করিতে দিয়াছিলেন। আমি আহার করিলে পাতে যাহা অবশিষ্ট ছিল তাহাকে তাহা ভক্তির সহিত আহার করতে

  • আত্ম বিবরণ ।