পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । “ভক্তি ও প্ৰেম বিনা, ব্ৰাহ্মসমাজের কল্যাণ নাই; কি তুচ্ছভাব লইয়া মানুষ মানুষকে ঘৃণা করিতেছে।” যখন এই প্ৰেমভক্তির ভাব্যসাগরে তিনি নিমগ্ন হইয়াছিলেন, তখন রাত্রি প্রায় অবসান হইয়াছে। সেই শুভ ব্ৰাহ্মমুহূৰ্ত্তে জগজ্জননীর নিকট হইতে তিনি এই, পরম সম্পদ প্ৰেমভক্তির উচ্চভাব প্ৰাপ্ত হইলেন, এবং গ্রীষ্মের প্রখর উত্তাপের পর বর্ষার বারিধারা যেমন ধরাবক্ষের সকল সন্তাপ হরণ করে, নরনারীর দেহমান সুস্নিগ্ধ হয়, তেমনি ঘোর শুষ্কতার পর এই নব ভক্তিধারা তাহার চিত্তকে স্নিগ্ধতায় অভিষিক্ত করিল। তিনি এই ভাব পাইয়া যাহারা তাহার হৃদয়ের বন্ধু তঁহাদিগকে সেই প্ৰাণের কথা বলিবার জন্য কলিকাতা যাত্ৰা করিলেন । এ দিকে কলিকাতার ব্ৰাহ্মগণ শুষ্কতার ঘনঘটায় আচ্ছন্ন হইয়া কি উপায়ে ঐ শুষ্কতা দূর হইতে পারে। তদুপায় নিৰ্দ্ধারণে ব্যগ্ৰ হইয়াছিলেন। ভক্তবৎসল। ভগবান অন্তৰ্দশী, তিনি মানবের মনে দীনতা দর্শন করিলে এবং কাতরভাবে মানুষকে তঁাহার শরণাপন্ন হইতে দেখিলে স্থির থাকিতে পারেন না। তিনি কলিকাতাস্থ নবীন ব্ৰাহ্মদলকে স্নান দেখিয়া, এবং তঁাহারা ব্যাকুলভাবে তাহার শরণাপন্ন হইয়াছেন জানিয়া আত্মস্বরূপ প্ৰকাশ করিলেন ; তঁহাদের দৈন্য দূর হইল। নবীন ব্ৰাহ্মদল ১২৭৪ সনের ভাদ্রমাস হইতে নিয়মিত উপাসনা আরম্ভ করিয়া গুঢ়তত্ত্ব সকলের অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হন, এবং উপাসনার সূক্ষ্মভাব অবগত হইবার জন্য শ্ৰীমৎ প্ৰধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের নিকট প্ৰতি বুধবার অপরাহ্নে মিলিত হইয়া তাহার জীবনের পরীক্ষিত আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার বিবরণ শুনিতে আরম্ভ করেন। এই উপায়ে ক্ৰমে তাহদের মধ্যে সরসভাবের উদয় হয় । তঁহারা প্ৰথম দিন মহৰ্ষিকে ব্ৰহ্মদর্শনের বিষয় জিজ্ঞাসা করিলে তিনি অবাক হইয়া