পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মসমাজে সংকীৰ্ত্তন । , »še বিলিয়াছিলেন-“কি ! তোমরা ব্ৰহ্মদর্শন করা নাই ? ব্ৰহ্মদর্শন না। कब्रिया ব্ৰাহ্ম হইলে কিরূপে ?” গোস্বামী মহাশয় শান্তিপুর হইতে কলিকাতা আসিয়া কলিকাতার ব্ৰাহ্মগণকে বিশেষ সাধন ভজনে প্ৰবৃত্ত দেখিলেন। তখন প্রতিদিন এমন জীবন্ত উপাসনা হইত যে তাহা ত্যাগ করিয়া কেহ শীঘ্ৰ বাসায় আসিতে পারিতেন না । ‘সত্যং জ্ঞানমনন্তং’ ইত্যাদি স্বরূপগুলি উচ্চারণ করিয়াই তাহারা নিরাপ্ত হইতেন না, ধ্যান ও চিন্তাযোগে স্বরূপগুলি উপলব্ধি করিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করিতেন । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের অনুকুল উপদেশে এই পিপাসা-কাতর সাধকবৃন্দের পিপাসার আরও বৃদ্ধি হয়। একদিন মহর্ষি বলিলেন—“তোমাদিগকে এরূপ প্ৰতিজ্ঞা করিতে হইবে যে ঈশ্বর দর্শন না হইলে পান ভোজন করিব না।” এইরূপ উপদেশে অনেকে সমস্তদিন উপবাসী থাকিয়া ধ্যান, আরাধনা ও প্রার্থনায় যাপন করিতে লাগিলেন। তঁহাদের মধ্যে এতদূর বৈরাগ্য জন্মিল যে তাহ দেখিয়া কেহ কেহ ত্ৰাসযুক্ত ও বিরক্ত হইয়া উঠিলেন । এই সময় একদিন গোস্বামী মহাশয়ের অগ্রজ ব্ৰজগোপাল গোস্বামী কনিষ্ঠের কলিকাতাস্থ বাসায় আসিয়া “কানুপরশমণি” * গান করেন। ঐ সংকীৰ্ত্তন শুনিয়া ভক্তিপিপাসু গোস্বামী মহাশয়ের ভক্তি উথলিয়া উঠিল। তিনি ব্রাঙ্কুসমাজে সংকীৰ্ত্তন প্ৰবৰ্ত্তন করিতে ইচ্ছুক হইয়া আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রকে স্বীয় অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলেন। “খোল বাজাইয়া কীৰ্ত্তন হয়” এই অভিপ্ৰায়ে মহাত্মা কেশবচন্দ্ৰ ইতিপূর্বেই একটী মৃদঙ্গ আনাইয়। রাখিয়াছিলেন। এখন গোস্বামী মহাশয়ের প্রস্তাবে প্রফুল্পচিত্তে সম্মতি দান করিলেন। শুভ মুহূৰ্ত্তে ব্ৰাহ্মসমাজে সংকীৰ্ত্তন • বৈষ্ণব সংকীৰ্ত্তন