পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । এই বৎসর মাঘোৎসবে প্রথম নগর সংকীৰ্ত্তন আরম্ভ হয়। শ্ৰীযুক্তত্ৰৈলোক্যনাথ সান্ন্যাল মহাশয় “তোরা আয়রে ভাই, এতদিনে দুঃখের নিশি হ’ল অবসান; নগরে উঠিল ব্ৰহ্মনাম” এই বিখ্যাত সঙ্গীত রচনা করেন । উক্ত সংকীৰ্ত্তনে সে দিন কলিকাতা সহর মাতিয়া উঠিয়াছিল। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন—“আমি ইতিপূর্বে আদি ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এই বারের উৎসবে ও কীৰ্ত্তনে আমার পরিবর্তন হয়। এইদিন হইতে আমার ন্যায় আরও অনেক ব্যক্তি ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত হন। আমি ইতিপূর্বে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজকে নেড়ার দল মনে করিয়া উহ। হইতে দূরে থাকিতাম। উৎসবের সময় একদিন কলুটােলায় কেশব বাবুর বাড়ীতে যাই, বিজয় বাবু আমাকে দেখিয়া আমার গলা ধরিয়া আলিঙ্গন করিলেন । তারপর উপাসনা হইল, তাহার আলিঙ্গনে আমি তথাকার উপাসনায় রহিলাম এবং তদবধি ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত হইলাম। বিজয় বাবু তাহার প্ৰেমালিঙ্গনে আমাকে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের সহিত যুক্ত করিয়া লইলেন।” • উৎসবের কিছু দিন পরে কেশবচন্দ্র সপরিবারে মুঙ্গেরে গমন করেন। । ঐ সময় তথাকার উপাসক মণ্ডলীতে কয়েকজন বৈষ্ণব ভাবাপন্ন ভক্তলোক ছিলেন । কেশবচন্দ্ৰেজর উদ্দীপনাময়ী সরস উপাসনায় যোগ দিয়া ইহাদের মনে অত্যন্ত অনুরোগেরু, উদয় হয়, তাহারা কেশবচন্দ্রের প্রতি একান্ত ভক্তি প্ৰদৰ্শন করেন । কেবল মুঙ্গোরে নয়, এই সময়ে ব্ৰাহ্মসমাজে ভক্তির এক প্ৰবল তরঙ্গ প্ৰবেশ করিয়াছিল । ভক্তির উচ্ছাসে ভক্তের প্রতিও সকলের কৃতজ্ঞতা উথলিয়া উঠিয়াছিল। ভক্তের প্রতি কৃতজ্ঞার চিহ্ন তাহদের রচিত—“প্ৰভু দয়াল আষি সাধু মুখে শুনেছি” গানেও বন্ধুক্ত হইল। এই গীতটা গোস্বামী মহাশয়ের