পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । এইবার তিনি যত দিন শান্তিপুরে ছিলেন, চিকিৎসা করিয়াছিলেন। আমরা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি চিকিৎসায় তাহার বের্গ "সুনাম ছিল। দরিদ্রদিগকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করিয়া এবং প্রয়োজন মত রোগীর সেবা করিয়া তিনি সৰ্ব্বদা নিজকে কৃতাৰ্থ জ্ঞান, করিতেন। শান্তিপুরে একজন সঙ্কটাপন্ন রোগীৱ চিকিৎসায় তাহার বিশেষ আত্মত্যাগের পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল । তিনি এক দিন কোন রোগীর বিপজ্জনক অবস্থায় জলঝড় অতিক্ৰম করিয়া, নৌকার অভাবে গঙ্গানদী সন্তরণ দ্বারা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়া রোগীর চিকিৎসা করিয়াछिgव्शन्म । * আর একবার শান্তিপুরে তঁহার চিকিৎসাধীন একটী বালিকার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তিনি উদ্বেগে অধীর হইয়া পড়েন । এই অবস্থায় স্বপ্নে ডাক্তার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট রোগের ব্যবস্থা প্ৰাপ্ত হন । স্বপ্নে বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় আসিয়া বলিতেছিলেন“তুমি ভাবিছ কেন, আমি প্রিসক্রিপসন লিখে দিচ্ছি।” এই বলিয়া ব্যবস্থা লিখিয়া দিলেন। তিনি উহা পড়িলেন। তৎপর নিদ্রা হইতে উঠিলেও ঔষধের নাম তাহার স্মৃতিতে ছিল, তিনি উহা কাগজে লিখিলেন ; এবং পড়িয়া ভাবিলেন “ইহা যে বিষ, ইহা কিরূপে প্ৰয়োগ করা যাইতে পারে ?” কিন্তু দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিল। এই ঔষধেই আরোগ্য হইবে । তৎপর ঐ ঔষধে রোগের উপশম হইল। "

  • শ্ৰীযুক্ত জগদ্বন্ধু মৈত্ৰেয় হইতে সংগৃহীত।

+ শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায়। কথিত । উক্ত ঘটনার বছ। দিন পরে গোস্বামী মহাশয় একবার প্রচারার্থে মজঃফরপুর গিয়াছিলেন। এক দিন বক্তৃতার পর একটী ভদ্রলোক বলিলেন-“আপনার বক্তৃতা ত শুনিলাম, কিন্তু আমার গৃহে এক দিন আহার করিতে হইবে।” গোস্বামী মহাশয় কারণ জিজ্ঞাসা করিলে