পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন লোক জগতে কয়জন আছেন ? মান মৰ্যাদাই লোকের সর্বস্ব, কোট বজায় রাখা লোকের স্বভাবসিদ্ধ। এই উভয়কেই যিনি তুচ্ছ করিতে পারেন। তিনি যে কেমন লোক তাহা সহৃদয় ব্যক্তি মাত্রই জানেন’ । * গোস্বামী মহাশয় স্বীয় ক্ৰটী স্বীকার করিয়াই নিরস্ত হন নাই, ব্ৰাহ্মগণের মধ্যে যাহাতে পুনরায় সম্ভাব সংস্থাপিত হয় তজ্জন্য ধৰ্ম্মতত্ত্বে প্ৰবন্ধ লিখিয়া বিশেষভাবে চেষ্টা করিয়াছেন। ব্ৰাহ্মগণ যাহাতে আবার পরস্পর পরস্পরের নাম শুনিয়া ও মুখ দেখিয়া পুলকিত হন, এবং একহৃদয় হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের জয় সৰ্ব্বত্র ঘোষণা করেন, এজন্য কাগজে লিখিয়া ও উপদেশ দিয়া যথাসাধ্য প্ৰয়াস পাইয়াছেন । ধৰ্ম্মতত্ত্বে তাহার পত্ৰ প্ৰকাশিত হইলে ধীরে ধীরে প্রজ্বলিত বহির নিৰ্ব্বাণ হইয়া আসিল ; এবং পুনর্বার ব্রহ্মোপাসনার প্রতি উপাসকগণের দৃষ্টি পড়িল। এই বৎসর ৭ই ভাদ্র ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসনা প্ৰতিষ্ঠিত হয়। ঐ দিন প্ৰাতে ও সায়ংকালে ৭ ঘটিকা হইতে ১০ ঘটিকা পৰ্য্যন্ত উদ্দীপনাময়ী উপাসনা হইয়াছিল ; সায়ংকালীন উপাসনা আরম্ভের পূর্বে শ্ৰীযুত্ত্ব আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, কৃষ্ণবিহারী সেন, ক্ষীরোদচন্দ্র রায়, প্ৰভৃতি একুশজন শিক্ষিত এবং উৎসাহী যুবক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এই উৎসবের আনন্দহিল্লোলে ব্ৰাহ্মসমাজের মনোমালিন্যের ঘনঘটা-যাহ কয়েক দিন ব্রাহ্মগণকে স্নান করিয়া রাখিয়াছিল,—তাহা বিলীন হইয়া গেল ; পুনরায় উপাসকগণের মধ্যে নব আশা ও উদ্যমের সঞ্চার হইল ; ব্ৰাহ্মব্ৰাক্ষিকাগণ আগ্ৰহসহকারে অ্যাচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের উপাসনায় যোগ দিয়া নিজকে কৃতাৰ্থ মনে করিতে লাগিলেন । e মুঙ্গেরের আন্দোলন বিষয়ক পুস্তক।