পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মীধৰ্ম্ম প্রচার । * * 9 ভাদ্রমাসে গোস্বামী মহাশয় পুনরায় ঢাকায় গমন করিয়া ঢাকা ব্ৰাহ্মসমাজের আচাৰ্য্যের কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করেন । তিনি প্ৰথমে এই কারণে উক্ত ভার গ্রহণে আপত্তি করিয়াছিলেন যে—“যদি ব্ৰাহ্মসমাজে স্নাম্প্রদায়িক ভাব থাকে। তবে আমি এখানে আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য করিতে সম্মত হইতে পারি না।” অবশেষে তাহার আশঙ্কা দূর হইলে তিনি উক্ত ভার গ্ৰহণ করিলেন। এই সময় ঢাকা ব্ৰাহ্মসমাজ নবগঠিত পূৰ্ববাঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে মিলিয়া একীভূত হইয়া যায়। ঢাকাতে তখনও প্রাচীন ব্রাহ্মের সংখ্যা অধিক ছিল। নব্যদলের অধিকাংশ ব্ৰাহ্ম, যুবক বা ছাত্র ছিলেন। প্রাচীন ব্ৰাহ্মদলের উপর তঁহাদের বিশেষ কোন প্রভাব ছিল না । যদিও প্রাচীনেরা তাহদের আচাৰ্য্য গোস্বামী মহাশয়ের উপাসনা বক্তৃতাদির একান্ত পক্ষপাতী ছিলেন, কিন্তু তঁহাদের স্বাভাবিক সংস্কার-বিমুখত তাহাদিগকে ইহার সকল মতের সঙ্গে একমত হইতে দেয় নাই। এজন্য র্তাহারা দুই দল, মতভেদ লইয়াই একত্র কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন । ঢাকায় অবস্থান কালে তিনি একবার তাহার কতিপয় ব্ৰাহ্মস্রাতার সহিত মিলিত হইয়া প্রচার্যার্থে কুমিল্লা গমন করেন। তথায় তাহারা জনৈক বন্ধুর গৃহে ঈশ্বরোপাসনা ও নামসংকীৰ্ত্তন করিতেছিলেন এমন সময়ে প্রায় একশত লোক যঠিসহ আসিয়া তাহাদিগকে মারিয়া সহর হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিবার অভিপ্ৰায়ে অত্যন্ত গোলযোগ আরম্ভ করিয়াছিল। কিন্তু তাহারা ইতিপূর্বেই ঈশ্বরের প্রতি একান্ত ভক্তিযুক্ত হইয়া ‘দয়াময় নাম বল রসনা অবিশ্রাম’ এই কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিয়াছিলেন । সঙ্গীত শ্রবণে এবং তঁহাদিগের ভক্তিভাব দর্শনে আততায়ীরা কিছুকাল নীরব হইয়া রহিল ও তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ ভাবের আবেগে অশ্রুপাত পৰ্য্যন্ত করিতে লাগিল । পরিশেষে তাহারা অনুতপ্ত