পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । , , »80 এই নবাঙ্গ সাধন ভক্তি লাভের প্রধান উপায়। ঈশ্বরের নাম যেখানে আলোচিত হইবে, কীৰ্ত্তিত হইবে, সেখানে গমন করিয়া শ্ৰৰণ করিতে হইবে। ভাল লাগিতেছে না, ভাষার "পারিপাট্য নাই, বলিবার শৃঙ্খলা নাই, সঙ্গীতের সুর ভাল নহে। ইহা ৰলিয়া নাম শ্রবণ পরিত্যাগ করিও না। হৃদয়-বন্ধুর কথা শুনিয়া কি হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইবে না ? যাহাতে পিতার দয়াল নামের মধুরতা হৃদয় উপভোগ করিতে পারে তজ্জন্য প্রার্থনা করিতে হইবে। বিশ্বাস-পূর্ণ মনে তাহার নাম কীৰ্ত্তন করিতে হইবে । তঁহার নাম গান করিলে, স্মরণ করিলে, হৃদয় পুলকিত হয়, পবিত্র হয় । “শ্বপচৌহপি মহীপালো বিষ্ণোৰ্ভক্তে দ্বিজাধিকঃ বিষ্ণুভক্তি বিহীনোহপি যতিশ্চ শ্বপচাধিপঃ ।” ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শুষ্ক ধৰ্ম্ম নহে, ভক্তিই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের। প্ৰাণ । এই ভক্তির হিল্লোল উত্থিত হইয়া সমস্ত পৃথিবীকে প্লাবিত করিবো। “কর সাধন ব্ৰহ্মের চরণ, যাতে পাবে নিত্য শান্তিনিকেতন । * * ঢাকা অবস্থান কালে তিনি ময়মনসিংহে যেরূপে প্রচার করিয়াছিলেন, তদ্বিবরণ উদ্ধৃত করিতেছি। ইহা তাহার ময়মনসিংহের তৃতীয় বারের কাৰ্য্য ;- “১৮৬৯ সালের শীত ঋতুতে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক ভক্তিভাজন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী এখানে আগমন করিলেন। তখন । ব্ৰাহ্মসমাজে ভক্তির সঞ্চার আরম্ভ হইয়াছে। আমরা দূরে থাকিয়া ধৰ্ম্মতত্ত্বে সে বিবরণ পাঠ করিতাম । আমাদেরও সংকীৰ্ত্তন করিতে সাধ হইত। গোস্বামী মহাশয়ের মুখে সংকীৰ্ত্তন শুনিয়া আমাদের অনেকের চিত্ত বিশেষভাবে আকৃষ্ট হইল। আমরা তঁহার নিকট

  • -*=- spes- ris
  • ধৰ্ম্মতত্ত্ব (১৭৯২৷৷১৬ই জৈষ্ঠ )