পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৬ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। তাজের প্রাঙ্গনস্থ উদ্ধৃষ্ঠানে গিয়াছি। উদ্যানের পুষ্পবৃক্ষগুলি পর্যামাসুন্দরী স্ত্রীলোকের বেশ ধারণ করিয়া আমার সমক্ষে উপস্থিত হইল । সেই অপূৰ্বরূপলাবণ্য দর্শনে তাহাদিগকে দেবকীন্ত মনে হইল। ইতিমধ্যে র্তাহারা আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“তুমি কিজান্য এই পবিত্র স্থানে আসিয়াছ ?” এবং আমি দেখিলাম তাহার একবার বৃক্ষ, আবার স্ত্রীমূৰ্ত্তি ধারণ করিতেছেন। আমি তঁহাদের এইরূপ বেশ পরিবর্তনে বিমুগ্ধ হইয়া কিয়ৎক্ষণ মৌনভাবে থাকিলাম এবং পরে জিজ্ঞাসা করিলাম—“আমি আপনাদের নিকট একটী উপদেশ গ্ৰহণ করিতে আসিয়াছি, ঈশ্বর সর্বব্যাপী তাহা কিরূপে বুঝিব ?” তঁাহারা বলিলেন— “তুমি আজও ঈশ্বর বিষয়ে অনভিজ্ঞ ? যাহার রাজ্যে বাস কর, যাহার দয়া ভিন্ন এক দণ্ড বঁাচ না, তঁাহার বিষয়ে কোন প্ৰাণে সংশয় করিতেছি ?” আমি লজ্জিতভাবে উত্তর করিলাম যে—“আমি একজন লোর মুখ, কিছুই জানি না ; আপনার উপদেশ দিয়া আমাকে সুখী করুন ।” তাহারা প্ৰসন্ন হইয়া বলিলেন—“আমাদের মত সুন্দরী কোথায়ও দেখিয়াছ ?” উত্তর—“না, স্বপ্নেও দেখি নাই।” তাহারা—‘একমাত্ৰ ঈশ্বরই আমাদিগকে এত সুন্দরী করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। তিনি আমাদের মধ্যে আছেন। র্তাহার সৌন্দৰ্য্যের আভ্য! আমাদের শরীরদিয়া বহির্গত হইতেছে বলিয়া আমাদের এমন শোভাসৌন্দৰ্য্য হইয়াছে। তাহার অধিষ্ঠান ভিন্ন কিছুই সুন্দর হইতে পারে না। ইহার গুঢ় অর্থ যদি বুঝিয়া থাক তবে সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে ঈশ্বরকে পরম সুন্দর বলিয়া দেখিতে পাইবে।” ইহা বলিয়া স্ত্রীলোক গুলি বৃক্ষরূপ ধারণ করিল। অপরদিকে চাহিয়া দেখি শুভ্ৰশ্মশ্রীধারী কতিপয় বৃদ্ধ কহিতেছেন- “যে ঈশ্বরকে সুন্দর বলিয়া জানিলে র্তাহাকে প্ৰাণ বলিয়া জান। কেবল তিনি আমাদের প্রাণরূপে আছেন বলিয়া আমরা এতদূর সারবান হইয়াছি।” ইহা বলিতে বলিতে কেহ