পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্ৰাচীর । , >8ፃ কেহ প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড প্রাচীন বৃক্ষরূপ ধারণ করলেন । এই সময় আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল। আমি এই স্বপ্নটা দ্বারা অত্যন্ত উপকৃত হইয়াছি। পূৰ্ব্বে যাহা শূন্যমাত্র জ্ঞান হইত এখন দয়াময় ঈশ্বরের পবিত্র আবির্ভাবে পূর্ণ বলিয়া বোধ হয়।” ধৰ্ম্মপ্রচার্যার্থে গিয়া নানাস্থানে তঁহাকে বিবিধ অবস্থায় পতিত হইতে হইয়াছে। লাহোরের একটী ঘটনা এস্থলে বিবৃত হইতেছে ঃ তিনি প্রচারার্থে লাহাের গিয়া কয়েক দিন বন্ধুদের সঙ্গে একত্ৰ ধৰ্ম্মালোচনা ও উপাসনায় যাপন করেন। একদিন রজনীতে আহারান্তে শয়ন করিয়া রহিয়াছেন এমন সময়ে মানসিক বিকার উপস্থিত হওয়ায় তাহার মনে অত্যন্ত অনুতাপ জন্মিল ; পুনঃ পুনঃ এই চিন্তা উপস্থিত। হইতে লাগিল—“আমি প্রচারক উপদেষ্টা, আর আমার মন পাপ-চিন্তার অধীন ! হায়, আমার তবে কিছুই হয় নাই!” অনুতাপে তাহার হৃদয় দগ্ধ হওয়ায় কিছুতেই অশ্র সম্বরণ করিতে পারিলেন না । হৃদয়ের অন্তস্তল হইতে “মালিন পঙ্কিল মনে কেমনে ডাকিব তোমায়” গান উখিত হইল । তিনি কাদিয়া কাদিয়া ঐ গান অনেকক্ষণ ধরিয়া করিলেন, কিন্তু তবুও মন শান্ত হইল না । অবশেষে ‘পাপ জীবন রক্ষা করা বৃথা৷” মনে করিয়া আত্মহত্যায় কৃতসংকল্প হইলেন। রজনীর গাঢ় অন্ধকারে পৃথিবী আচ্ছন্ন, গভীর নিদ্রায় প্রাণিগণ অচেতন । তিনি সেই নিশীথ সময়ে শয্যা পরিত্যাগ করিয়া, নিকটস্থ রাবী নদীতীরে আসিয়া দেহ বিসর্জন মানসে একখণ্ড গুরু-ভার প্রস্তর, পরিধান বস্ত্ৰদ্বারা গলবদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে একজন সাধু জঙ্গল হইতে বাহির হইয়া আসিয়া তাহাকে বাধা দিয়া বলিলেন ঃ-—“ও বাচ্চ শরীর ছোড়নেসে পাপ প্ৰবৃত্তি নষ্ট হোগা নেহি । তু ধৈর্যয ধর । তেরা ভাল হোগা । যব পাপ ছুটেগা, তু কুচ নেহি জানেগা। আভি বহুত্ রোজ দেৱী হ্যায়।