পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । হইয়াছিলেন। উক্ত বিষয় দুইটার মীমাংসার জন্য প্ৰকাশ্য সভায় বাদানুবাদ উপস্থিত হইলে সংখ্যাধিক্য বশতঃ প্ৰাচীন দলের মতই প্ৰবল হইল । র্তাহারা নিৰ্দ্ধারণ করিলেন যে——“পৌত্তলিকতার সঁঙ্গে সাধারণ ভাবে সুংসৃষ্ট ব্যক্তি আচাৰ্য্যের পদে থাকিতে পরিবেন।” এইরূপ নিৰ্দ্ধারণ গোস্বামী মহাশয়ের আচাৰ্য্যের পদে স্থির থাকার অন্তরায় হইল ; কারণ তিনি যখন যাহা অন্যায় মনে করিতেন, তাহার সঙ্গে মিল করিয়া চলিতে পারিতেন না। এজন্য তিনি তঁহার সঙ্গীতের যুবক ব্ৰাহ্মবন্ধু দলসহ পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে পৃথক হইয়া পড়িলেন ; এবং ঢাকা প্রকাশে বিজ্ঞাপন দিয়া স্বতন্ত্র স্থানে উপাসনা আরম্ভ করিলেন । কলিকাতার ন্যায়। ঢাকাতেও তঁহারই উদ্যোগে স্বতন্ত্র উপাসনা স্থান প্রতিষ্ঠিত হইল । * পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের তৎকালীন সভাপতি ৬৮ ব্রজসুন্দর মিত্ৰ মহাশয় গোস্বামী মহাশয়কে উক্ত সমাজের আচাৰ্য্যপদে স্থির রাখিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াও তাঁহাকে বাধ্য করিতে পারিলেন না । তাহার প্ৰকৃতি একদিকে কুসুমের ন্যায় কোমল হইলেও বজের ন্যায় কঠোর ছিল । উহা নরনারীর পাপ দুঃখ দর্শনে নিতান্ত ব্যথিত হইত, কিন্তু কৰ্ত্তব্যের তুলাদণ্ডে ও বিশ্বাসের অগ্নি-পরীক্ষায় বজের কঠোর মূৰ্ত্তি ধারণ করিত ; তখন কোন বিরোধীমত জয়যুক্ত হইতে পারিত না । সুতরাং ব্রজসুন্দর বাবুর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়া কিছুই আশ্চর্য্যের বিষয় নয়। যাহা হউক সূচিপান্দরিপ নামক গলিস্থ দেওয়ান সাহেবের হাবিলিতে নিয়মিতরূপে তাহাদের উপাসনা চলিতে লাগিল; এবং যথাসময়ে মহা সমারোহে তেঁাহদের বাৰ্ষিক উৎসব সম্পন্ন হইল। এই উৎসবের সময় ৫/৬ জন শিক্ষিত যুবক গোস্বামী মহাশয়ের নিকট ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্ৰহণ করেন। এইবার পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য নির্বাহের জন্য * কিছুদিন পরে এই দুই দল পুনরায় একত্ৰ হইয়াছিলেন।